আব্দুল হান্নান আকন্দ গাইবান্ধা : গাইবান্ধায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ একবছরেও সংস্কার না করায় আগাম বন্যা আতঙ্কে রয়েছে ওই এলাকার লাখো মানুষ। গত কয়েকদিন ধরে কাটাখালী ও বাঙ্গালি নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় এ আতঙ্ক দেখা দেয়।
কৃষকরা জানান.এ বাঁধের কারণে বন্যার কবল থেকে রক্ষা পায় উঁচু এলাকার বিভিন্ন ফসলী জমি। কিন্তু গত বছরের বন্যায় গোবিন্দগঞ্জ ও পলাশবাড়ী উপজেলার মধ্যে দিয়ে বয়ে যাওয়া কাটাখালী ও বাঙ্গালি নদীর পূর্বতীরের সাঘাটার কচুয়া, রামনগর, দলদয়িয়া আদর্শ গ্রাম এলাকায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের কয়েকটি স্থানে ভেঙে যায়। এক বছরেও সেই বাঁধ মেরামতের কোনো উদ্যোগ না নেওয়ায় আগাম বন্যা আতঙ্কে রয়েছে ওই এলাকার লক্ষাধিক মানুষ ।
সাঘাটা উপজেলার দলদলিয়া গ্রামের বাসিন্দা নিতাই চন্দ্র জানান, গত বছর বন্যায় এই গ্রামের সঙ্গে গোবিন্দগঞ্জের এলাচের ঘাট সেতুর সংযোগ সড়কের ৩০ মিটার ভেঙ্গে যায় ।ফলে বন্যা আসার পূর্বেই ভেঙ্গে যাওয়া বাঁধ দিয়ে পানি ঢুকে পানিতে এলাকা প্লাবিত হবে।মুক্তিযোদ্ধা মাহবুবুর রহমান জানান, রামনগর গ্রামে মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি সংসদ সংলগ্ন বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ১০০ মিটার ভেঙে যাওয়ায় চলতি বছর পানি প্রবেশ করে উঁচু এলাকার শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোকলেছুর রহমান, বাঙ্গালী ও কাটাখালি নদীর পানি নিয়ন্ত্রণে নির্মিত বাঁধসেংস্কার কাজ দ্রুত শুরু করা হবে। পানি উন্নয়ন বোরর্ডের তথ্যমতে, গত বছরের বন্যায় জেলার ২৪০ কিলোমিটার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের মধ্যে ৫০ কিলোমিটার আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং ৩৭টি পয়েন্টে ভেঙে যায়। ইতিমধ্যে বন্যা বাঁচাতে শহর রক্ষা বাঁধসহ জেলার ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধের ২৪ কিলোমিটার মেরামতের কাজ শুরু করে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
এরমধ্যে সদর উপজেলার বাগুড়িয়া থেকে বালাশিঘাট রাস্তা পযর্ন্ত ৩ হাজার ৫৩০ মিটার বাঁধ পুনর্নির্মাণ কাজে ব্যয় ধরা হয় ৩ কোটি ১৯ লাখ ৮২ হাজার টাকা, বালাশিঘাট রাস্তা থেকে বালিয়ামারী পর্যন্ত ১ হাজার ১৩০ মিটার বাঁধ মেরামত কাজে ব্যয় ধরা হয় ১ কোটি ৭ লাখ ৮২ হাজার এবং কেতকির হাট থেকে মশামারী পর্যন্ত ১ হাজার ৮৭৫ মিটার কাজের বিপরীতে ব্যয় ধরা হয়েছে ২ কোটি ২৬ লাখ ১১ হাজার টাকা।