কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। ঘরবাড়িতে পানি ওঠায় উঁচু বাঁধ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আশ্রয় নিচ্ছেন বানভাসিরা। এমনিতে করোনায় দীর্ঘদিন কর্মহীন জেলার দিনমজুর ও নিম্ন আয়ের মানুষ। তার উপর আগাম বন্যায় চরম বিপাকে পড়েছেন তারা।
বন্যা কবলিত এলাকায় শুকনা খাবার, বিশুদ্ধ পানিসহ গো-খাদ্যের সংকট দেখা দিয়েছে। দিনরাত বৃষ্টির কারণে জ্বালানী নষ্ট হয়ে যাওয়ায় বানভাসিদের দুর্ভোগ আরো বাড়িয়েছে।
সরকারি হিসাব অনুযায়ী, বন্যায় জেলার ৫৫টি ইউনিয়নের ৩৫৭টি গ্রাম প্লাবিত হয়ে ১৫ হাজার ৬শ পরিবারের ৬৪ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। নদী ভাঙনে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ ঘরবাড়ি হারিয়েছে ৫শ পরিবার। ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৩০ কিলোমিটার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধসহ ৩৭ কিলোমিটার কাঁচা রাস্তার। এছাড়াও কৃষিতে পাট, আউশ ধান, আমন বীজতলা, তিল এবং সবজিসহ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৫ হাজার ৬৫৩ হেক্টর ফসলি জমি।
অপরদিকে মৎস্য বিভাগ আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ না জানালেও ইতোমধ্যে শতাধিক পুকুর প্লাবিত হওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মাছ চাষিরা। বন্যা আক্রান্তদের জন্য ৩০২ মেট্রিক টন চাল ও ৩৬ লাখ ৬৮ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।