নিজস্ব প্রতিনিধি: কুষ্টিয়া ইবি থানার হরিনারায়নপুর ইউনিয়ন এর পূর্ব আব্দালপুর গ্রামের লতিফ জোয়ার্দার এর ছেলে আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী শারমিন সুলতানা কে তার বাবার ছেলে না থাকায় জমি বিক্রি করে নিয়ে আসার জন্য স্বামী শাশুড়ি মিলে বেধড়ক মারধর ও অত্যাচার করার অভিযোগ উঠেছে। জানা যায় গত তিন বছর আগে কুষ্টিয়া কুমারখালী থানার শালগর মধুরা গ্রামের আফতাব উদ্দিনের মেয়ে শারমিন সুলতানার সাথে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় আনোয়ার হোসেনের। সবকিছু ঠিকঠাকই চলছিল। কিন্তু সুখ আর বেশিদিন রইল না শারমিন সুলতানার। বিয়ের দুই বছর পরে একটি কন্যাসন্তানের জননী হন শারমিন সুলতানা। কন্যা সন্তান জন্মের পর থেকেই শুরু হয় স্বামী-শাশুড়ির অমানবিক নির্যাতন। শত নির্যাতনের পরও সন্তানের দিকে তাকিয়ে স্বামী সংসার কে আঁকড়ে ধরে রাখার চেষ্টা করেছেন শারমিন সুলতানা। কিন্তু ক্রমে বেড়ে চলেছে নির্যাতনের মাত্রা। গত ২৮/০৬/২০২০ ইং তারিখে সন্ধ্যা ছয়টায় শাশুড়ি আম্বিয়া বেগম শারমিন সুলতানা কে জমি জায়গা বিক্রি করে যৌতুকের টাকা নিয়ে আসার কথা বললে এক পর্যায়ে ঝগড়াঝাঁটির সৃষ্টি হয়। সদরঘাটের একপর্যায়ে শারমিন শারমিন সুলতানা কে তার শাশুড়ি আম্বিয়া বেগম চুলের মুঠি ধরে বেধড়ক মারপিট করে এবং সেই সাথে যুক্ত হয় আনোয়ার হোসেন ও তার ছোট ভাই শাহিন ইসলাম এবং তাদের সাথে যুক্ত হয় শারমিন সুলতানার চাচাশ্বশুর জায়েদ ইসলাম। শারমিন সুলতানা কে আনোয়ার হোসেন খাটের স্ট্যান্ড ও কাঠের বাটাম দিয়ে বেধড়ক মারপিট করে জখম করে। এবং তাকে মেরে ফেলে ফ্যানের সাথে ঝুলিয়ে দেয়ার হুমকি দেয়। জখম হওয়ার পর শারমিন সুলতানা বিষয়টি তার বাবা ও দুলাভাই রেজাউল ইসলাম কে জানালে তার বাবা ও দুলাভাই আনোয়ার হোসেনের বাড়িতে যান এবং তার স্বামী ও শাশুড়িকে বিভিন্ন ভাবে অনুরোধ করলেও তার বাবার কথা শোনেন না এবং শারমিন সুলতানা কে ঘরে আটকে রাখেন একপর্যায়ে শারমিন সুলতানার দিশেহারা বাবা কোন পথ না পেয়ে ইবি থানার অফিসার ইনচার্জ জাহাঙ্গীর আরিফকে জানায়। তাৎক্ষণিকভাবে ইবি থানার অফিসার ইনচার্জ জাহাঙ্গীর আরিফের নেতৃত্বে সঙ্গীয় ফোর্সসহ সাব ইন্সপেক্টর শাহ আলীকে ঘটনাস্থলে পাঠান এবং শারমিন সুলতানাকে উদ্ধার করেন।
