নিজস্ব প্রতিনিধি:
বিয়ের নয় মাস পার হলেও স্বামীর স্বীকৃতি থেকে বঞ্চিত অভাগা এক নারী স্ত্রীর মর্যাদা পেতে সুষ্ঠ বিচারের আশায় ঘুরছে দ্বারে দ্বারে ৷ এমনটিই অভিযোগ উঠেছে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ইবি থানাধীন মনোহরদিয়ার সুচতুর সুযোগ-সন্ধানী কাশেম মন্ডলের নামে ৷ সরেজমিনে মনোহরদিয়া ইউনিয়নের কন্দর্পদিয়া গ্রামে গেলে ওই অভাগা নারী মরিয়ম বেগম (৩৮) এ প্রতিবেদককে অভিযোগ করে বলেন দুইটি সন্তান রেখে গত পাঁচ বছর আগে আমার স্বামী ক্যান্সারজনিত কারণে মৃত্যুবরণ করেন ৷ আমার স্বামীর মৃত্যুর পর ছেলে মেয়ে নিয়ে খেয়ে নাখেয়ে দিনপাত কাটানোকালে পাশ্ববর্তী মনোহরদিয়া গ্রামের বজলু মন্ডলের ছেলে কাশেম মন্ডল (৪১) এর স্ত্রী অসুস্থ্য থাকার কারনে তার বাড়ীতে রান্নাবান্নার জন্য বেতনের চুক্তিতে বুয়া হিসেবে আমাকে কাজ দেয় ৷ তারপর থেকে তিন সন্তানের পিতা কাশেম মন্ডলের বাড়ীতে আমি প্রতিদিন রান্নাবান্না সহ পরিবারের সবধরনের কাজ কর্ম করতে থাকি ৷ এমতাবস্থায় সুযোগ সন্ধানী কাশেম আমাকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে বিয়ের করার কথা বলে জোর পূর্বক আমার সাথে সম্পর্ক স্থাপন করেন ৷ কাশেম মাঝে মাঝেই আমার কাছে আসতো, আমি তাকে বোঝাতাম এগুলো অন্যায় ও গুনাহের কাজ৷ অনৈতিক সম্পর্ক থেকে কাশেমকে আমি দুরে রাখার ফলে গত ৯ মাস পূর্বে ডাক্তার দেখানোর নাম করে চুয়াডাঙ্গা দৌলাতদিয়াড় এর কাজী অফিসে নিয়ে গিয়ে আমাকে বিভিন্ন হুমকী ধামকী দিয়ে জোরপূর্বক ভাবে ১৫/৯/২০১৯ তারিখে ৫লক্ষ টাকা দেনমহর ধার্য করে বিবাহ রেজিস্ট্রী করায় ৷ বিয়ে শেষে কাশেম আমাকে হুমকী দিয়ে নিষেধ করে দেয় বিয়ের কথা কাউকে না বলে গোপন রাখতে৷ বিয়ের ৮ মাস গোপনে গোপনে ভালোই কাটছিলো ৷ গত একমাস আগে বিয়ের গোপন বিষয়টি হঠাৎ জানাজানি হওয়ার পর থেকেই কাশেম শুরু করেছে বিভিন্ন টালবাহানা ! একটু থেমে কান্নাজড়িত কন্ঠে অভাগা মরিয়ম আরও বলেন আমাকে কাশেম তার বাড়ী থেকেও বের করে দিয়েছে, এখন সে আমার সাথে কথা পর্যন্ত বলে না ৷এক্ষেত্রে আমার অপরাধ কোথায়? আমি কাশেমের স্ত্রীর মর্যাদা পেতে ও সুষ্ঠ বিচারের আশায় অনেকের কাছেই গিয়েছি, গরীব মানুষ বলে কেউ আমার পক্ষে কথা বলেনি ৷ আমি আপাদের মাধ্যমেই বলছি- কাশেম আমাকে শরিয়া মোতাবেক বিয়ে করেছে ৷ আমি কাশেমের স্ত্রী, আর স্ত্রী হিসেবে আমি মর্যাদা ও স্বীকৃতি চাই ৷এ বিষয়ে জানতে কাশেমের সাথে সাক্ষাৎ করার চেষ্টা করলেও যোগাযোগ সম্ভব হয়নি ৷
