পত্নীতলায় (নওগাঁ) প্রতিনিধি:
নওগাঁর পত্নীতলায় পরিবেশ বান্ধব কেঁচো সার তৈরী ও বিক্রয় করে পরিবারের জন্য বাড়তি আয়ের সংস্থান করছেন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর নারীরা। স্থানীয় বেসরকারি উন্নয়ন সংগঠন বরেন্দ্রভূমি সমাজ উন্নয়ন সংস্থা (বিএসডিও) থেকে প্রশিক্ষণ ও উপকরণ সহায়তা নিয়ে পত্নীতলা ও কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের দুই শতাধিক নারী এই কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। নির্ধারিত কাজের পাশাপাশি বিনা খরচে ঘরে বসে বাড়তি আয়ে পরিবারে মর্যাদা বৃদ্ধি পাচ্ছে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর নারীদের।
নওগাঁ জেলায় প্রায় ১৫টি ভিন্নক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর ২ লক্ষাধিক মানুষের বাস। এর মধ্যে পত্নীতলা উপজেলায় প্রায় ৩৫ হাজার ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর বাস। নারী-পুরুষ নির্বিশেষে কৃষিনির্ভর কাজের উপর এদের জীবন ও জীবিকা নির্ভরশীল।কিন্তু কৃষিবহির্ভূত কাজে এদের দক্ষতা না থাকায় বছরে ৫/৬ মাস বেকার সময় পার করতে হয়।
তাই বিকল্প আয় বর্ধক কর্মকাণ্ডের সহিত ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর নারী-পুরুষদের সম্পৃক্তকরণের লক্ষ্যে বিএসডিও দাতা সংস্থা মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে জানুয়ারী ২০১৯ সাল থেকে মহাদেবপুর ও পত্নীতলা উপজেলায়” ডিগনিটি এন্ড লিডারশীপ ডেভেলপমেন্ট অব ইথনিকমাইনোরিটি প্রকল্প” শুরুকরেছে। প্রকল্পের আওতায় বিএসডিও এ পর্যন্ত ২শত ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর নারী-পুরুষকে কেঁচো সার তৈরী ও বসতবাড়িতে সবজি চাষ বিষয়ক প্রশিক্ষণ প্রদান করেছে।
এ বিষয়ে বিএসডিও’রপ্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর আবু হেনা মোহাম্মদ ফিরোজ জানান, কেঁচো সার উৎপাদনের তেমন কোনো খরচ নেই আর বাড়তি সময়ও ব্যয় করতে হয়না। ফলে পিছিয়ে পড়া ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর নারীরা একদিকে যেমন আর্থিকভাবে উন্নতি করছে, অন্যদিকে রাসায়নিক সারের ক্ষতি কর প্রভাব থেকে কেঁচো সার আমাদের রক্ষা করছে। জমির উর্বরতা শক্তি ফিরিয়ে নিয়ে আসা, পানিধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি, কীটের আক্রমণ প্রতিরোধ, পরিবেশ সুরক্ষায় এই কেঁচো সার খুবই উপকারি।