Sunday , April 20 2025
You are here: Home / মতামত / এখন কে কার নিরাপত্তা দেবে? -প্রসেনজিৎ হালদার
এখন কে কার নিরাপত্তা দেবে? -প্রসেনজিৎ হালদার

এখন কে কার নিরাপত্তা দেবে? -প্রসেনজিৎ হালদার

পৃথিবীর অনেক রাষ্ট্রে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের ‘দ্বিতীয় ঈশ্বর’ বলে মানা হয়। যে কোন সমস্যায় তারা সর্বোচ্চ সহযোগী হয় সাধারণের। বিশ্বাসী মানুষের কাছে ঈশ্বরের রূপ নিয়ে আবির্ভূত হন তারা। দুইয়ে পক্ষ, একটা ভালো অন্যটা খারাপ। যেখানে যত ভালোই হোক না কেন তার মধ্যেও অন্যায়কারী-দুর্নীতিগ্রস্তরা থাকে। এদের সঙ্গে সম্মুখ সমরে লড়ার শক্তি-ক্ষমতা যার নেই রাষ্ট্রের তৈরি আইনই তার ভরসা। রাষ্ট্র যদি ওই ব্যাক্তিকে তার পাওনা সুবিধা না দেয় তাহলে গোটা রাষ্ট্র তার কাছে বন্দিশিবিরতুল্য হয়। তৃতীয়, চতুর্থ কিংবা উচ্চমাত্রার দুর্নীতিগ্রস্ত দেশগুলো যে নীতি-নৈতিকতা নিয়ে এগিয়ে চলে তাদের সঙ্গে অন্যদের তুলনা হয় না। হত্যা, নির্যাতন, লুটপাট সেখানে নিয়মিত এবং স্বাভাবিক ব্যাপার হয়ে ওঠে। আর, যদি কোন সভ্য দেশ বা জাতিতে এই জাতীয় অন্যায় চলে তা কোনভাবেই প্রশ্রয়ের যোগ্য হতে পারে না।

সুজলা সুফলা আমাদের দেশটায় সৌন্দর্যের কমতি নেই। মানুষ কিছু অনিয়ম করলেও তা এখনো দস্যূতার শামিল নয়। সাধারণ মানুষ পেটে-ভাতে একটু ভালোভাবে বাঁচার চিন্তা করে। অথচ, দিন শেষে তাকেই সহ্য করতে হয় হয়রানি। অনেকেই বলেন, দেশটা সঠিকভাবে নীতি-নৈতিকতা মেনে চলছে না, রাজনীতি নেই, সব জায়গায় দুর্নীতি; হেনতেন। তারা মিথ্যা বলেন না, চোখের সামনে অন্যায় দেখলে তা তো বলতেই হয়। সমস্যা হচ্ছে, অন্যায় দেখে তা বলার সক্ষমতা না থাকা। কারণ, যারা অন্যায় করেন তাদের নিয়ে কিছু বলতে গেলে পেটে-ভাতে আর ভালোভাবে বাঁচার স্বপ্ন দুঃস্বপ্নে পরিণত হবে, হয়। উন্নয়নের তকমা লাগিয়ে ব্যাপক লুটপাট চালিয়ে তাতেও যদি সমাজে শান্তি আসে, নির্ধিদায় বলা যায়, সাধারণের তাতে আপত্তি নেই। কিন্তু, দেশ থেকে ন্যায়-নীতি উচ্ছেদ হলে সাধারণের জন্য সাড়ে তিন হাত জায়গা ছাড়া আর অবশিষ্ট কিছু থাকে না। কারণ, নির্যাতন হজম করার চেয়ে মৃত্যু ভালো।

কিছুদিন পরপর বড় বড় ঘটনা পিছনের আরেকটি বড় ঘটনা ধামাচাপা দেয়। ওসি মোয়াজ্জেমের খবর এখন আর শিরোনামের বাইরে। হয়তো বছর ঘুরে আবার যখন নুসরাত ক্যালেন্ডারে ঘন্টা বাজাবে। তখন মনে পড়বে সোনাগাজীর ঘটনা। তনুর শরীর অনেক আগেই কীটের দল নিয়ে নিয়েছে, হাড়গোড়ও অবশিষ্ট নেই হয়তো। অথচ, তনুর যে পরিণতি হলো সেজন্য যারা দায়ী তাদের খুঁজে পাওয়া গেল না। প্রদীপ সাহেবও ক্ষমতার সঠিক ব্যবহার করেছেন। গুলিই শ্রেষ্ঠ, ক্ষমতাই মূখ্য; চুক্তিতে না মিললে নিজের দলেরও যে কেউ বলী হতে পারে সিনহা রাশেদের মতো। তাই প্রশ্ন আসে, এখন কে কার নিরাপত্তা দেবে?

ভুরি ভুরি আইন, সংবিধান, বিধি। বলা আছে, তাতে সবার ভাগ সমান। অপরাধের জন্য শাস্তি, ভালো কাজের জন্য পুরস্কার। হ্যাঁ, প্রদীপ সাহেবেরও মেডেল আছে। বাহুবল কিংবা সাহস কোনটিতেই তার ঘাটতি নেই। অপরাধ দমনে সচল সে। কিন্তু, অঢেল টাকার ব্যাপারেও তার সচেতনতা আছে। প্রথম সারির কোন দেশে জমি-বাড়িও রয়েছে হয়তো। বংশ প্রদীপও নিশ্চয়ই ‘দ্বিতীয় ঈশ্বরদের’ দেশে থাকার কথা। এ তো ভালো ব্যাপার। কিন্তু, সমস্যা অন্য জায়গায়। লোকের মুখ থেকে বের হচ্ছে আসল তথ্য। অন্যায় করে রোজগার করা পয়সার জের দিতেই হয়। না দেখে না বুঝে মানুষ হয়ে আরেক মানুষকে শত্রু ভেবে খুনের পর দেখা গেল সে ‘আপন ভাই’! আহা! কোথায় বাস আমাদের! পাপের রাজ্যে সাময়িক ধামাচাপার সুযোগ আছে, কিন্তু তা দীর্ঘস্থায়ী হয় না। একদিন প্রকাশ্যেই আসতেই হয়। তখন মুখোশ পড়লেও টাক দেখে চিনে নিয়ে সেখানে জুতা দিয়ে থু থু ঘসে সুধীসমাজ।

যে রাজনীতি, নিয়মনীতি সাধারণ মানুষের সুবিধার জন্য তৈরি, তা-ই কাল হয়। শক্ত লোহার বাট আর তার হাতল কাঠের। শক্তি সঞ্চার করে তা দিয়ে আঘাত করা হয় নীতিকে, বিবেককে। লুটিয়ে পরে ন্যায়নীতি, মাফ চেয়ে কান্না করে। কিন্তু, কোন উপায় নেই, দেখার কেউ নেই। বড় দুর্ভোগ তাকে পোহাতেই হয়। দুর্ভোগ পোহাতে পোহাতে যখন ন্যায় আর উঠতে পারে না আর তাকে আঘাত করারও প্রয়োজন হয় না। সে মৃত।  অন্যদিকে, আঘাত করাই যে অন্যায়ের অভ্যাস। তার তো ঘুম নষ্ট হয়ে গেছে আঘাত করার ঘাটতিতে। এবার তাই নিজেই নিজের অবয়বকে চিনতে পারে না সে। আঘাত করে। লুটিয়ে পড়ে। ন্যায়ের বীজ আবার রোপণ হয়, অন্যায় তখন মাটির শত হাত নিচে। এ তো এক কাল্পনিক গল্প, বাস্তবতা অন্যরকম, তা সবাই বুঝতে পারে। সাগর-রুনিকে নিয়েও তেমন হইহুল্লোর আর দেখা যায় না। পেছাতে পেছাতে ৭৩ এ গিয়ে ঠেকেছে তদন্ত প্রতিবেদন।

একদিন থলের বেড়াল ঠিক বেড়িয়ে আসে। বেড়ার যদি কান থাকতে পারে তবে বাতাস-মাটি-জলের দোষ কোথায়? তারাও নিশ্চয়ই শুনতে পারে। একদিন তারাও মুখ খুলবে। তখন লুকানোর জায়গা থাকবে না অন্যাকারীদের। কবে কখন নির্দিষ্ট করে বলা না গেলেও বিচারহীনতার সংস্কৃতিও দূর হবে একদিন। ততদিনে হয়তো মরীচিকা হয়ে যাবে সততা, ন্যায়নীতি। কারণ, যে সময় যে ক্ষতি পিছনে পড়ে যায় তা পুশিয়ে নেওয়া সম্ভব হয় না। তখন আবার নতুন করে সবকিছু সাজাতে হয়। তাও যে ভীষণ কষ্টসাপেক্ষ, দূরুহ।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমও এখন ভীষণ সরব। কোন এক নিউজ পোর্টালের ফেসবুক পেজে এক ভদ্রলোক ঠিক এমন মন্তব্য করেছেন, ‘হায় রে আমার সোনার বাংলাদেশ। বিচারপতিদের উপর জনগণের আস্থা অনেক আগেই নষ্ট হইছে। এখন একমাত্র সেনাবাহিনীর দিকে সাধারণ মানুষ তাকিয়ে আছে আশা করি তারা দেশ রক্ষার শপথ টাকার কাছে বিক্রি করবেন না। এখনও বিশ্বাস করি যে অবশ্যই দেশভক্ত সৎ সাহসী আর্মি অফিসার দেশে আছে।’ তক্বীদের না হয় বাদ-ই দিলাম,  একজন সেনা কর্মকতাকে যখন গুলি করে হত্যা করা হয় তখনও যদি অন্যায়কারীদের উপযুক্ত শাস্তি না হয় তাহলে আর ভরসার জায়গা থাকে না। ওসি প্রদীপও চক্রব্যুহের ক্ষমতাপ্রাপ্ত, তা কারও অজানা নেই। হয়তো আবার কোন আবরার, কিংবা নুসরাতের ঘটনা প্রদীপকেও হার মানিয়ে দেবে। কিন্তুু, অন্যায়কারীদের কঠোর শাস্তির বিকল্প পথ নেই।

সরকার, প্রশাসন নিয়ে প্রশ্নের শেষ নেই। ভালো কাজ যে নেই তা নয়। কিন্তু, ওই যে সেই পুরোনো কথা, ‘সাত মন দুধ নষ্ট করতে এক ফোটা গরুর মূত্র-ই যথেষ্ট।’ জোর দিয়ে বলা যায়, অন্যায়ের যতক্ষণ পর্যন্ত উপযুক্ত বিচার না হবে পরিস্থিতি একই রকম থাকবে। ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি কতটুকু কার্যকর হচ্ছে? জরিপ করলে দেখা যাবে, দেশের সাধারণ নাগরিক, যারা প্রশাসন কিংবা সরকারের কাছে সাহায্যের জন্য গেছেন কোন না কোনভাবে তাদের হয়রানির শিকার হতে হয়েছে। হয়তো উৎকোচ, অথবা আমলাতান্ত্রিক জটিলতা। উপজেলা রেজিট্রি অফিসের চালান ফরম থেকে শুরু করে সচিবালয়ের দরজা, এর মধ্যে যত ধাঁপ আছে তার কোনটাই বাদ যাবে না। এ তথ্য প্রমাণ করার কিছু নেই।

দেশে ডিজিটালের তকমা লাগলেও এখন অনেক কর্মকর্তা-সাহেবদের ঘরে ক্যামেরা বসেনি। তারাই ডিজিটালের সংজ্ঞা নির্ধারণ করেছেন, অথচ অনিয়ম-দুর্নীতির করার জন্যই নিজের ঘরে ক্যামেরা বসাননি। গোপন ক্যামেরার ভয়ে জামালপুরের সেই ডিসিও হয়তো নিজেকে শুধরে নিয়েছেন। অন্তত, এটা একটা ভালো দিক। কিন্তু, এ নিয়ে ভাবতে গেলে তো টেবিলের নিচের হিসেব বাদ দিতে হবে। তার থেকে বড় কথা হলো, অন্যায়-অনিয়মের বিচার না হলে, এরাও নতুন মোড়কে হাজির হবে। হতে পারে বিকাশ-রকেট, কিংবা দালাল।

লাখ লাখ টাকায় নিয়োগ, কোটি টাকার বিনিময়ে পদোন্নতি; এ খবরও প্রচলিত জনে জনে। এখনো হাজার হাজার অর্থসম্পদশালীরা কাড়ি কাড়ি টাকা নিয়ে বসে আছে তৃতীয়-চতুর্থ শ্রেণীর একটি সরকারি চাকরির নেওয়ার জন্য। আর, যারা টাকার বিনিময়ে চাকরি নেন তাদের দ্বারা যতটুকু না উপকার হবে তার থেকে বেশি হয় ক্ষতি, হচ্ছেও। শিক্ষক, ডাক্তার, প্রকৌশলী; কিংবা সরকারী অফিসের প্রথম-দ্বিতীয় শ্রেণীর কর্মকর্তা নিয়োগ বস্তা বস্তা টাকার বিনিময়ে বিক্রি হয়। ভুয়া ডাক্তাররের সংবাদের ঘটনা লুকানো নেই। প্রমাণও অহরহ। যে বৃক্ষের শিকড় পঁচা তা আর কত দিনই বা দাড়িয়ে থাকে? রাষ্ট্রের পদে পদে এমন পঁচা শিকড়ে বোঝাই। তাহলে তো এখানে অন্যায় অপকর্ম বাড়বেই। যারা দেখবে তাদের চোখেও ছা‍ঁনি।

বিচারপতিদের নিয়েও দুর্নীতির চিত্র উঠে আসছে। গ্রেপ্তারী পরোয়ানা পর্যন্ত জারি হয়েছে। অথচ, বিদেশের মাটিতে বসে নিরিবিলি রেড ওয়াইনে চুমুক দিয়ে নিশ্চিন্তে বাস করছেন মিঠু সাহেবের মতো অনেক দুর্নীতিবাজ লোকজন।‍ তার মতো লোকের অভাব নেই যার নামে বেনামে সম্পদ রয়েছে। এতদিন তো এই ধান্দাই করেছে। ‘কোথায় টাকা, কোথায় টাকা’। আর নির্যাতন, অন্যায়ের শিকার হয়ে ন্যায় চাইতে গিয়ে আবারও অত্যাচারের শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। এমনকি থানায় গিয়েও নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে আমাদের মা-বোনদের।

কার টাকায় দেশের রাজকোষ পূর্ণ হয়? সে খেয়াল নেই। একটা কিছু বলতে গেলেই মামলা-হামলার ভয়। রক্ষা নেই। খুঁটে খুঁটে দুই দানা জমিয়েছে এক গরীব, তাও শেষমেষ পিপড়ার দখলে যায়। আর রাঘববোয়ালরা বরাবরই ছোট মাছগুলোর দিকে আড়চোখে তাকিয়ে থাকে। ১০ টাকা কেজির চাল, দুর্যোগের ত্রাণ, এমনকি বয়স্কদের ভাতা নিয়েও অনিয়মের শেষ নেই। হোতা নিছক গুটিকয়েক। কিন্তু, তাদের যে পাখা তৈরি হয়েছে তা ভাঙা কিংবা মচকানোর সম্ভাবনা দেখা যায় না। উঁচু মহলের প্রণোদনা ছাড়া কিভাবে সাহেদ-পাপিয়া এতো লাফালাফি করেছিল! কার ক্ষমতা নিয়ে শামীম এতো কাজ বাগিয়েছিল! এসব না হয় থাক।

ঘুনে ধরা এইসব যন্ত্র নিয়েই সামনের দিকে চলছে দেশ। উন্নয়ন হলেও তা যে শুধুই লোক দেখানো তাও বুঝতে বাকি থাকছে না সুশীলদের। আগের বারে যারা ক্ষমতায় ছিলেন খেলাপীতে তাদের পরিমান লাখের ঘরের কোটিতে। আর দীর্ঘমেয়াদী এবার যারা ক্ষমতায় আছেন, পরবর্তীতে তথ্য প্রকাশের পর দেখা যাবে তাও শত লাখের ঘরের কোটিতে। কার দোষ কত, কিংবা আর কেউ গুণীজন এর বাইরে আছেন কি না তা বোঝার উপায় নেই। করোনায় মুখোশের নিচে ঢাকা পড়ে গেছে আরেক চরিত্রের মুখোশ । নিশ্চিতভাবে বলা যায়, যা হচ্ছে তা হতে থাকলে লুটপাটের রাজত্ব কমার সম্ভাবনা নেই। আর, যারা কমাবে তারা জড়িত হলে তো দেশজুড়ে দুর্নীতির মহোৎসব চলবে। এভাবে চলতে চলতে দস্যূবৃত্তি বাড়বে। বাড়তে বাড়তে গোলা ভরা ধান আর পুকুর ভরা মাছের দেশটা নরকরাজ্যে পরিণত হবে। এখনো অনেক পথ বাকি।

আমাদের অভাব নেই। তবুও এখনো রাস্তায় ঘুমায় অনেক দিনমজুর; বাস্তুহীনরা। আর, সরকারী জায়গার ইজারা দখল কিংবা লাখ টাকার ফ্ল্যাট পান সুবিধাভোগীরাই। দেখার কেউ নেই। বরাদ্দ থাকে শতভাগ, তা থেকে ব্যয় হয় আরও বেশি। কিন্তু, প্রকৃত কাজে লাগে কতটুকু তা নিয়ে সংশয় দেখা দেয়। অনিয়মকারীদের বহুতল ভবন, নামে বেনামে অঢেল সম্পদ; বিদেশী ব্যাংকে অর্থের বস্তা। ভাত-মাছের মতোই অভ্যস্ত হয়েছে সবাই। অন্যায় করাই যেন প্রচলিত বিধি হয়ে দাড়িয়েছে দুর্নীতিগ্রস্তদের। এই প্রথা ভাঙবে কে? প্রথাবিরোধীদের এই সমাজে দুটো ডাল-ভাত নিয়েই বেশি ভাবতে হয়। সুইমিংপুল কিংবা মদের বার স্বপ্নে ধরা দেয়।

মনে পড়ে, দুইজন বন্ধু টাকাওয়ালা জায়গার বড় কর্মকর্তা হয়েছে। তাদের নিয়ে অনেক স্বপ্ন। সুন্দর দেশ তৈরির চাবিকাঠি তাদের মতো যুবাদের হাতেই। গল্প করে বেড়াই নিজের চিন্তায়, কলামের পাতায়। না, প্রবল বিশ্বাস, তাদের চাকরি টাকার বিনিময়ে হয়নি। তাদের সততা মৃত্যু ভয়কেও জয় করতে পারে। তাদের মেধা টাকার নিক্তিতে মাপার যোগ্য নয়। মেধার মূল্য এখনো আছে, তারাই হয়তো এর উপযুক্ত প্রমাণ দেবে। তবে, যেদিন কানে আসবে তাদের মতো মানুষও দুর্নীতিতে জড়িয়েছে, তখন আর নিজের ওপর নিজেরই আস্থা থাকবে না। তখন সেই দলে গিয়েই ভিড়তে হতে পারে। দেশ থেকে সততা বিলীন হলে দেশান্তর কিংবা সাড়ে তিন হাত জায়গাই হতে পারে শেষ ঠিকানা। কারণ, তখন, কে কার নিরাপত্তা দেবে?

About দৈনিক সময়ের কাগজ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

Scroll To Top
error: Content is protected !!