দৌলতপুর(কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি ঃ
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে প্রশাসনের নাকের ডগায় দেদারছে চলছে প্রাইভেট টিউশনি। মানছে না কোন সামাজিক দূরত্ব। প্রতিদিন সকাল থেকে শুরুকরে বিকেল পর্যন্ত চলছে এসব প্রাইভেট পড়ানো। সরকারী নির্দেশনা অমান্য করে করোনা ভাইরাস সত্বেও প্রাইভেট পড়ানোয় এলাকার সচেতন অভিভাবক মহল উদ্বিঘœ হয়ে পড়েছে। দৌলতপুর উপজেলায় করোনা ভাইরাসেও লকডাউনের শুরু থেকে অদ্যবধি প্রাইভেট পড়াচ্ছেন শিক্ষক মুকুল, খায়রুল ইসলাম, জামান, মামুন,টোবারক, শহিদুল ইসলাম সহ বেশ কিছু শিক্ষক প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে প্রাইভেট পড়িয়ে যাচ্ছে। উপজেলার গোপিনাথপুর, দৌলতপুর, মস্টিারপাড়া, রিফাইতপুর, বড়গাংদিয়া, আল্লারদর্গা, তারাগুনিয়া, ফিলিপনগর সহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এ প্রাইভেট পড়ানো অব্যহত রয়েছে। প্রতিদিন সকাল ৭টা থেকে ৮টা- আবার ৮টা থেকে ৯টা-বিকেল ৪টা থেকে ৫টা পর্যন্ত কয়েক শিফটে সামাজিক দূরত্ব না মেনে স্কুল, কলেজের ছেলে মেয়েদের এসব প্রাইভেট পড়ানো হচ্ছে।কুষ্টিয়ার অন্যান্য উপজেলার চেয়ে দৌলতপুরে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বেশী। ইতিমধ্যে আক্রান্ত হয়েছে দৌলতপুর উপজেরা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন আক্তার, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ইশরাৎ জাহান, উপজেলা প্রকৌশল দপ্তরের উপসহকারী প্রকৌশলী আশরাফুল ইসলাম পুলক সহ এক সঙ্গে অফিসের ৭জন, অশংখ্য সরকারী কর্মকর্তা। বেশ কয়েকজন শিক্ষক, বর্তমানে করোনা আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছে উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট এজাজ আহমেদ মামুন, এদিকে করোনায় আক্রান্ত হয়ে শিক্ষক, সরকারী কর্মকর্তা এবং সর্বশেষ দৌলতপুর থানার ওসি এস,এম আরিফুর রহমান মৃত্যু বরন করেছেন। করোনা ঝুকিতে রয়েছে অশংখ্য মানুষ। সচেতন মহল স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের বাচানোর লক্ষ্যে প্রাইভেট বন্ধের দাবী জানিয়েছেন।