নিজস্ব প্রতিবেদক:
কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় দুবৃর্ত্তরা একটি পুুকুরে বিষ প্রয়োগে করেছে। এ ঘটনায় প্রায় ২ লাখ টাকার মাছ মারা গেছে। গত ২৮ সেপ্টেম্বর রাতে এ ঘটনা ঘটে। পুকুরের মালিক ইলিয়াস একই এলাকার এমদাদুল ও নুরুল হুদার বিরুদ্ধে পুকুরে বিষ দিয়ে মাছ নিধন করার অভিযোগ উঠেছে। এলাকাবাসী ও ভুক্তোভোগী পরিবার এমদাদুল ও নুরুল হুদার বিচারের দাবী জানিয়েছে।
পুকুরের মালিক ইলিয়াস হাওলাদার কুষ্টিয়া সদর উপজেলার দরবেশপুর গ্রামের পূর্ব পাড়ার রুস্তম আলী হাওলাদারের ছেলে।
অভিযুক্ত এমদাদুল ইসলাম ও নুরুল হুদা একই এলাকার ইউসুফ ক্বারী হাওলাদারের ছেলে।
এলাকাবাসী সূত্র জানায়, উপজেলার দরবেশপুর গ্রামের পূর্ব পাড়ার ইলিয়াস হাওলাদারের একটি পুকুরে প্রায় ৪ লাখ টাকা ব্যয়ে রুই, কাতলা, তেলাপিয়া, সিলভার কার্পসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছের চাষ করে। মাছগুলো কিছুদিন পরেই তারা বিক্রি করত। গত ২৮ সেপ্টেম্বর গভীর রাতে একই এলাকার ইউসুফ ক্বারী হাওলাদারের ছেলে এমদাদুল ইসলাম ও নুরুল হুদা পুকুরটিতে বিষ প্রয়োগ করে। সকালে সব মাছ মরে ভেসে ওঠে। এমদাদুল ইসলাম ও নুরুল হুদার শাস্তির দাবী জানিয়েছেন।
পুকুরের মালিক ইলিয়াস হাওলাদার জানান, আমার এত বড় সর্বনাশ করেছে এমদাদুল ইসলাম এবং নুরুল হুদা। পুকুরে প্রায় ৬ লাখ টাকার মাছ ছিলো সব মাছ মারা গেছে। আমি প্রায় ৪ লাখ টাকা ব্যয়ে রুই, কাতলা, তেলাপিয়া, সিলভার কার্পসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছের চাষ করছিলাম। মাছগুলো কিছুদিন পরেই বিক্রি করা যেত। কিন্তু এমদাদুল ও নুরুল আমার পুকুরে বিষ দিয়ে সব মাছ মেরে ফেলেছে। আমি জীবনের মতো পথে বসে গেলাম।’
ইলিয়াস হাওলাদার বলেন, আমি দরিদ্র মানুষ। দুপয়সা লাভের আশায় ধারদেনা করে মাছ চাষের সঙ্গে জড়িত হয় এবং মাছ চাষ করছিলাম। দুসপ্তাহ পর মাছগুলো বিক্রি করলে সব টাকা উঠে আসত। শত্র“তাবশত এমদাদুল ও নুরুল এ ঘটনা ঘটিয়েছে। এ পর্যন্ত হিসাব অনুযায়ী প্রায় ২ লাখ টাকার মাছ মরে গেছে। নুরুল হুদা ও এমদাদুল ইসলামের শাস্তি চাই।
অভিযোগের বিষয়ে কথা বলার জন্য এমদাদুল ইসলাম ও নুরুল হুদার বাড়িতে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায় নি।
এবিষয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানার ওসি কামরুজ্জামান তালুকদারের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।