অভিভাবক ঐক্য ফোরাম পক্ষে শনিবার (১০ অক্টোবর) সংগঠনের সভাপতি জিয়াউল কবির দুলু স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, দেশে সরকার অনুমোদিত এবং এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসায়) ছাত্র বেতন (টিউশন ফি), ভর্তি ফি, সেশন ফি, বোর্ড পরীক্ষার ফরম পূরণ ফি-সহ যাবতীয় আয় ব্যয়ের স্বচ্ছতা না থাকায় দীর্ঘদিন যাবৎ বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে স্বেচ্ছাচরিতা ও শিক্ষা বাণিজ্য প্রকট রূপ ধারণ করেছে। ইতোপূর্বে আমাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে ২০১০ সালে শিক্ষা মন্ত্রণালয় বেসরকারি স্কুল-কলেজে শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য নীতিমালা করেছে। এতে শিক্ষার্থী ভর্তিতে অনেক ক্ষেত্রে শৃঙ্খলা ফিরে এসেছে।
উক্ত ভর্তি নীতিমালায় টিউশন ফি নির্ধারণ ও আদায় সংক্রান্ত কোন ধারা উল্লেখ না থাকায় বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো ইচ্ছা মাফিক টিউশন ফি-সহ অন্যান্য ফি আদায় করছে। একেক ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ইচ্ছা মাফিক টিউশন ফি আদায় করায় অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
করোনাকালেও বেসরকারি স্কুল-কলেজের টিউশন ফি আদায়ে বিশৃঙ্খলতার চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে উল্লেখ করে বিবৃতিতে সব ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য একটি অভিন্ন নীতিমালা করা আবশ্যক বলে জানানো হয়।
বিবৃতিতে, সারা দেশে সরকার অনুমোদিত বা স্বীকৃত, এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা) জন্য টিউশন ফি (ছাত্র বেতন) নির্ধারণে একটি অভিন্ন নীতিমালা প্রণয়ন করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।