কুষ্টিয়া অফিসঃ
কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে মাসের পর মাস ধরে ধর্ষণে গর্ভবতী হয়ে পড়ে একই এলাকার এক সন্তানের মা। পরে ধর্ষক পলাশের সহযোগিতায় গর্ভপাত করানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। গর্ভপাত করা ওই এক সন্তানের মাকে দফায় দফায় ধর্ষণ করা হয়। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে পলাশ তাকে ধর্ষণ করতো। গর্ভপাত করে মৃত ওই ছেলে সন্তানটিকে মাটি চাপা দেয়া হয়েছে। ঘটনাটি গত বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের মাজিরহাট গ্রামে ঘটেছে।
অভিযুক্ত পলাশ (৩৭) মিরপুর উপজেলার মাজিহাট গ্রামের মৃত দাউদ মাস্টারের ছেলে। তিনি আগে চা দোকানের ব্যবসা করতো। বর্তমানে বেকার। এবং গর্ভপাত করা ওই মহিলা একই এলাকার বাসিন্দা।
স্থানীয়রা জানান, প্রায় ৮ মাসের সন্তান পেটে থাকা অবস্থায়। স্থানীয় ডাক্তারের কাছে থেকে ঔষধ খেয়ে গর্ভপাত করে। গোপনে বাড়ির পাশের বাশের ঝাড়ের মধ্যে মাটি চাপা দেওয়া হয়। বিষটি ধামাচাপা দিতে মাটি খুড়ে ওই সন্তানটিকে মাটি চাপা দিয়েছে মাজিহাট গ্রামের টুটুল, দিপু, জাহারুল, শহিদুল মন্ডল। কিন্তু এই বিষটি তারা গোপন রাখতে পারেননি। ঘটনা জানার পর এনিয়ে স্থানীয়দের মাঝে সমালোচনার ঝড় বইছে। এলাকার মানুষ বিচারের দাবিতে ফুসে উঠেছেন।
জানা যায়, গর্ভপাত করা ওই ২২ বছরের মহিলার গত কয়েক বছর আগে উপজেলার রামনগর গ্রামের এক প্রবাসীর সাথে বিয়ে হয়েছিল। তারপর কয়েক মাস আগে ওই মহিলা তার স্বামীকে তালাক দেয়। ওই সংসারে তাদের একটি ৭ বছরের ছেলে সন্তান রয়েছে। স্বামীকে তালাক দেওয়ার পর থেকেই মহিলাটি তার বাবা বাড়িতে থাকে।
গর্ভপাত করা মহিলা বলেন, আমাদের গ্রামের মৃত দাউদ মাস্টারের ছেলে পলাশের সাথে আমার দৈহিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে প্রায় এক বছর আগে। পলাশ প্রায় প্রতিদিনই আমাদের বাড়িতে আসতেন এবং আমার সাথে দৈহিক সম্পর্ক করতেন। এর ফলে আমার পেটে সন্তান আসে। পরে গত বৃহস্পতিবার (১৫ অক্টোবর) দুপুরে মৃত ছেলে সন্তানের গর্ভপাত হয়। পলাশের সহযোগিতায় আমি পোড়াদহ বাজারের আজম ডাক্তারের কাছে গিয়ে ঔষধ নিয়ে এসে খেয়েছিলাম বাচ্চা নষ্ট করার জন্য। পরে ৮ মাসের মৃত ছেলে সন্তান গর্ভপাত হয়। তার আগে এক প্রবাসীর সাথে আমার বিয়ে হয়েছিল। সেই ঘরের একটা ৭ বছর বয়সী ছেলে সন্তান রয়েছে। স্বামীকে আমি প্রায় ৩ মাস আগে তালাক দিয়েছি। তিনি প্রায় ৩ বছর ধরে বিদেশে থাকেন। পলাশ আমাকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে মাসের পর মাস ধরে ধর্ষন করেছে। এবং আমার গর্ভে থাকা ৮ মাসের সন্তানকে নষ্ঠ করার জন্য চাপ প্রয়োগ করে। পরে গর্ভপাত হওয়া সন্তানটিকে বাশের ঝাড়ের মধ্যে মাটি চাপা দেওয়া হয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গর্ভপাত করে বাশের ঝাড়ের মধ্যে মাটি চাপা দেওয়া হয়েছে। এনিয়ে স্থানীয়দের মাঝে সমালোচনার ঝড় বইছে। এলাকার মানুষ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে পলাশ ও গর্ভপাত করা ওই মহিলার সাথে পলাশের অবৈধ সম্পর্কের জানায় এবং বাচ্চা নষ্ট করার বিষটি নিশ্চিত করে। স্থানীয়রা এর বিচারের দাবিতে ফুসে উঠেছেন।
এবিষয়ে মিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল কালাম বলেন, এব্যাপারে কোনো অভিযোগ পায়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।