নিজস্ব প্রতিনিধিঃ আজ থেকে ছয় বছর পূর্বে ১৫/০৪/২০১৪ ইং তারিখে রজব আলীর (২৮) সাথে প্রেম করে বিয়ে হয়েছিলো দিপ্তি। তিল তিল করে গড়ে তোলা সংসার, স্বামীর জমানো ভালোবাসা, বিশ্বাস সবকিছুকে তুচ্ছ করে পরকীয়ার টানে স্বামীর সংসার থেকে শুধু টাকা আর সম্পদ নিয়ে পালিয়ে গেছে দিপ্তি। ঐ গৃহবধুর আদ্যোপান্ত ও স্বামী রজব আলীর অসহায়ত্বে দৈনিক সময়ের কাগজের অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে উঠে এসেছে পুরুষ নির্যাতিত সমাজ ও আইন ব্যবস্থার একমুখী করন।
রজব আলী ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা থানার ০৭ নং হাকিমপুর ইউনিয়নের সাদুহাটি গ্রামের নজির উদ্দিনের ছেলে। একই ইউনিয়নের হরিহরা গ্রামের তোফাজ্জেল হোসেনের মেয়ে দীপ্তি খাতুন।
কুষ্টিয়া সরকারি মহিলা কলেজে পড়াশোনার সূত্রে দিপ্তীর নিয়মিত চলাচল কুষ্টিয়াতে। আর সেখানেই কপাল পুড়েছে রজব আলীর। কুষ্টিয়া ইবি থানাধীন ঝাউদিয়া ইউনিয়নের হাতিয়া বাজারের পাশে মানা শেখের ছেলে মাহাবুব শেখ (৩০) নামে এক ছেলের সাথে গত দেড় থেকে দুই বছর পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে দীপ্তি।
বিয়ের পরও রজব দিপ্তীকে এইচ এস সি পাশ করিয়ে কুষ্টিয়া সরকারী মহিলা কলেজে অনার্স ভর্তি করে। রজব আলীর চাকুরীতে থাকার সুযোগে দিপ্তী মাহাবুব নামের যুবকের সাথে পরকিয়া প্রেম করতে থাকে। প্রায় প্রতি সপ্তাহে দিপ্তী বিভিন্ন অজুহাতে রজব এর কাছ থেকে টাকা দাবি করতো। রজব আলীর স্বল্প পরিমাণ বেতন থেকে কোন রকম নিজের খরচটা চালিয়ে নিয়ে বৃহৎ অংশ টায় দিপ্তীকে দিয়ে খুশী রাখার চেষ্টা করেছেন বলে জানিয়েছেন রজব।
এরই মধ্যে দিপ্তী তার পরকীয়া প্রেমিক মাহাবুব এর হাত ধরে গত ১১ ফেব্রুয়ারী সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। এর পর তাকে অনেক খোঁজাখুঁজি করে কোথাও না পেয়ে ১২ ফেব্রুয়ারী ঝিনাইদহের শৈলকুপা থানায় তার স্ত্রীকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে একটি সাধারণ ডায়রী করে রজব আলী।
বেশ কিছুদিন পর গত ২০/০২/২০২১ ইং তারিখে দিপ্তীর সন্ধান পান রজব আলীর পরিবার। তারা জানতে পারে দিপ্তীর পরকীয়া প্রেমিক মাহাবুবের হাত ধরে সোজা তার বাড়িতে উঠেছে দিপ্তী। বাড়ি থেকে বের হবার সময় দিপ্তী নগদ ৪০ হাজার টাকা, একটি স্বর্ণের চেইন, দুইটি স্বর্ণের আংটি, একটি স্বর্ণের কানের দুল, মোবাইলসহ কম করে হলেও দেড় লাখ টাকার মুল্যবান সম্পদ নিয়ে গেছে বলে জানিয়েছে রজব।
কিছুতেই যেন বিশ্বাস করতে পারছেন না রজব আলী! মন থেকে এখনো মেনে নিতে পারছে না তার স্ত্রী দীপ্তি অন্য কারো হাত ধরে চলে গেছে। চক্ষু লজ্জার ভয়ে নিজে যেতে না পারলেও তার ছোট ভাই এবং পরিবারের লোকদের পাঠায় মাহবুবের বাড়িতে। সেখানে বেশ ফুরফুরে মেজাজেই পাওয়া যায় দীপ্তিকে এবং সে উচ্চস্বরে রজবের পরিবারের লোকদেরকে বলে দিয়েছেন যে মাহবুবের সাথে তার বিয়ে হয়ে গেছে। রজব আলীর পরিবার তখন একজনকে ডিভোর্স না দিয়েই অন্যজনকে কীভাবে বিয়ে করে তা জানতে চাইলে নিরব থাকে দিপ্তী। তবে তার পরদিনই সাংবাদিকরা গেলে তাদেরকে ডিভোর্স পেপার দেখানো হয়। যেখানে ০৩/১১/২০২০ ইং তারিখ উল্লেখ করা হয়েছে তবে স্বারক নং টা ভুলবশত ২০/০২/২০২১ ইং তারিখ রয়ে গেছে। ভুলটি ধরিয়ে দিলে ধরা খেয়ে গেছে বলে স্থানীয়রা হাসাহাসি করতে থাকে।
রজব আলী এখন দিপ্তী এবং তার পরকীয়া প্রেমিক মাহাবুব এর বিরুদ্ধে ইবি থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।