বিক্ষোভ ঠেকাতে কঠোর অবস্থান নিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী। গত ১ ফেব্রুয়ারি সামরিক বাহিনী দেশের পুরো ক্ষমতার নিয়ন্ত্রণ নেয়ার পর থেকেই বিক্ষোভের সূত্রপাত। বিক্ষোভকারীরা জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে নীরব ধর্মঘট পালন করছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বন্দিদের বহনকারী বেশ কয়েকটি বাস বুধবার সকালে ইয়াঙ্গুনের ইনসেইন কারাগার থেকে বেরিয়ে যেতে দেখা গেছে। সেখানে বন্দিদের বেশ কয়েকজন আইনজীবীও ছিলেন।
তবে কতজন বন্দিকে মুক্তি দেয়া হয়েছে সে বিষয়ে কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষনিকভাবে কিছু জানায়নি। সেনাবাহিনীর মুখপাত্রের সঙ্গেও এ বিষয়ে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
আইনী পরামর্শদাতা একটি গ্রুপের এক সদস্য জানিয়েছেন, বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ থেকে, রাতে অভিযান চালিয়ে এসব মানুষকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এছাড়া যারা নিয়মভঙ্গ করে কেনাকাটার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়েছে তারাও নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে আটক হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, দেশের বৃহত্তম শহর ইয়াঙ্গুনে অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানই বন্ধ রাখা হয়েছে। শহরের রাস্তা-ঘাটে খুব অল্প পরিমাণ গাড়ি চলাচল করতে দেখা গেছে।
বিক্ষোভের পক্ষে থাকা এক কর্মী বলেন, একদিনে জন্য কেউ কোথাও যাবে না, কোনো দোকান-পাট খুলবে না, কেউ কোনো কাজ করবে না।
ইয়াঙ্গুনের মায়ানগোন জেলার এক বাসিন্দা বলেন, প্রতিদিন শাক-সবজি এবং মাছ-মাংস নিয়ে যেসব বিক্রেতারা রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকেন বুধবার তাদের কাউকেই দেখা যায়নি। শুধুমাত্র পাখির ডাক ছাড়া কোনো যান চলাচলের শব্দও পাওয়া যায়নি।