সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী, শুক্রবার থেকে সকাল ৯টা-বিকাল ৫টা পর্যন্ত বিপণী বিতানসহ দোকানপাট চালু রাখা যাবে। এই সময়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানিয়ে বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
শুক্রবার দুপুরে গাউসিয়া মার্কেটে গিয়ে দেখা গেছে, মানুষের ভিড়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সামনে এগুনো কঠিন। গাউসিয়া মার্কেট লাগোয়া এলিফ্যান্ড রোডেও ছিল তীব্র ভিড়। একই চিত্র দেখা গেছে, মার্কেটের সামনের ফুটওভার ব্রিজেও। ফুটপাত থেকে শুরু মার্কেটের ভেতরের অলিগলিতেও ছিল উপচেপড়া ভিড়। কেউ কেউ মাস্ক পরলেও বেশিরভাগেরই মুখে তা দেখা যায়নি। দোকানীরা ক্রেতাদের সামাল দিতে হিমসিম খাচ্ছেন। কোনও দোকানেই হ্যান্ড স্যানিটাইজারসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি পালন করতে দেখা যায়নি।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, টানা চার দিন বন্ধ থাকার পর হঠাৎ করেই দোকানপাট খুলে দেওয়া হয়। এর মধ্যে আবার আগামী ১৪ এপ্রিল থেকে সর্বাত্মক লকডাউনের কথা বলা হচ্ছে। এ অবস্থায় আসন্ন পয়লা বৈশাখ ও পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা খুচরা ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা কেনাকাটার জন্য মার্কেটগুলোতে ভিড় করছেন। এসময় পোশাকের ব্যবসা চাঙ্গা হয়। এছাড়া নগরবাসীও সেই ভিড়ে অংশ নিয়ে কেনাকাটা করছেন। যে কারণে মানুষের চাপ বেশি।
গাউসিয়া মার্কেটের চার তলায় অবস্থিত ‘পূর্ণিমা’ নামের একটি দোকানে পোশাক কেনার জন্য ক্রেতাদের লাইনে দাঁড়িয়ে সিরিয়াল ধরতে দেখা গেছে। ক্রেতারা জানান, এই দোকানে মেয়েদের ড্রেস বেশি বিক্রি হচ্ছে। অন্যান্য দোকানের তুলনায় এই দোকানে দাম অনেক কম। সে কারণেই এই ভিড়।
উপচেপড়া ভিড়কথা হয় ফুটপাতের পাঞ্জাবি বিক্রেতা নাসির উদ্দিনের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘সকালের দিকে তেমন একটা মানুষ ছিল না। দুপুরের দিকে এত পরিমাণ মানুষ বের হয়েছে, যেন তারা ঈদের কেনাকাটা শুরু করেছেন। বেচাবিক্রিও যথেষ্ট হচ্ছে। এভাবে দুই-তিন দিন বিক্রি হলে ঈদের সময় যে লাভ হয়, আশা করি সেটা হয়ে যাবে ‘
তবে নগরীর অন্যান্য মার্কেটগুলোতে দুপুর পর্যন্ত তেমন একটা ভিড় দেখা যায়নি। মালিবাগ এলাকার মার্কেটগুলো অনেকটাই ফাঁকা দেখা গেছে। একই চিত্র দেখা গেছে মৌচাক মার্কেটেও। মগবাজারের শপিংমলগুলোতেও তেমন একটা ভিড় দেখা যায়নি।