শহিদুল ইসলাম, গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) প্রতিনিধিঃ
করোনাভাইরাস থেকে রক্ষার জন্য বারবার হাত ধোয়ার কথা বলা হলেও গোয়ালন্দ উপজেলার সেই ব্যবস্থাগুলো প্রায় উঠেই গেছে। মহামারির শুরুতে কিছু ব্যবস্থা নেয়া হলেও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে তা নষ্ট হতে চলেছে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে হাত ধোয়ার জন্য গোয়ালন্দ উপজেলার জনসমাগম হয়, এমন জায়গাগুলোতে গত বছর ৮টি বেসিন নির্মাণ করেছিল জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর। করোনা পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে না এলেও এসব বেসিনের ব্যবহার একেবারে কমে গেছে।
জানা গেছে, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে হাত ধোয়ার জন্য গত বছর ২০২০ সালে মে-জুন মাসে গোয়ালন্দ উপজেলার বিভিন্ন অফিসের প্রবেশদ্বারের সামনে এবং জনবহুল স্থানগুলোতে ৮টি বেসিন নির্মাণ করেছিল জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর। প্রতিটি বেসিনে নির্মাণে ব্যয় হয় প্রায় ৩০ হাজার টাকা এবং মোট ব্যয় হয় ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা। দেশে করোনা পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে না এলেও এসব বেসিনের ব্যবহার একেবারে কমে গেছে। হাত ধোয়ার উপকরণও রাখা হয় না অনেক বেসিনগুলোতে।
সম্প্রতি পৌরসভার শহরে নির্মিত বেসিনে দেখা যায়, কোথাও ময়লা জমে আছে, নেই হাত ধোয়ার সাবান। বেসিনে নেই পানি, জমেছে শেওলা। একই অবস্থা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে , রেজিষ্ট্রার অফিস ও উপজেলা নিবাহী কমকতা অফিস সামনেও। অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে দীর্ঘদিন ধরে এসব ব্যবহার করা হয়নি। শুধু গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভিতরে, বাসস্ট্যান্ড জামে মসজিদে ও গোয়ালন্দ পৌরসভার সামনের বেসিনটি সচল রয়েছে।
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর গোয়ালন্দ উপজেলার সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী নাসিরউদ্দিন মোল্লা জানান, সাধারণ মানুষের হাত ধোয়ার জন্য উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ৮টি বেসিন নির্মাণ করা হয়। হাত ধোয়ার বেসিনগুলো মাঝে মাঝে পরিস্কার করা হয় এবং আর সাবানের ব্যবস্থা আমাদের পক্ষ থেকে করা হয়। যেগুলো বেসিন কিছুটা নষ্ট হয়েছিল সেগুলো সংস্কার করা হয়েছে এবং চালু থাকার পরও সাধারন মানুষ সেগুলো ব্যবহার করছে না। বর্তমানে যেগুলোতে সাবান নেই সেগুলোতে সাবানের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।