Thursday , April 25 2024
You are here: Home / জাতীয় / তিস্তার পানি বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই, বন্যার শঙ্কা
তিস্তার পানি বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই, বন্যার শঙ্কা

তিস্তার পানি বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই, বন্যার শঙ্কা

ভারী বর্ষণ ও উজানের ঢলে তিস্তা নদীর পানি ক্রমেই বৃদ্ধি পেয়ে তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই করছে। ফলে বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এতে তিস্তা চরের মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। এরই মধ্যে নদীর পানি বৃদ্ধিতে তিস্তা চরের কয়েকশ একর জমির পাট, বাদাম, মরিচ, তিল, ধান বীজতলার ক্ষেত পানির নিচে তলিয়ে গেছে।

শনিবার (২৯ মে) বেলা ৩টায় লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ব্যারাজের ৪৪টি গেট খুলে দেয়া হয়েছে।

ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) সূত্র জানায়, শনিবার সকাল ৯টা থেকে থেকে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। সকাল ৯টায় তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার (৫২.৪৫ সেন্টিমিটার) নিচ দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার পর বেলা ৩টার তিস্তার পানি বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার (৫২.৫০ সেন্টিমিটার) নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দুদিন ধরে উজানের পানি ও ভারী বর্ষণের কারণে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে লালমনিরহাটের পাটগ্রামের দহগ্রাম, হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী, সানিয়াজান, সিঙ্গীমারী, সিন্দুর্না, পাটিকাপাড়া, ডাউয়াবাড়ী এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে।

এদিকে, পাটগ্রামের দহগ্রাম, হাতীবান্ধা সিন্দুর্না, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, কাকিনা, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা,পলাশী, সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ, রাজপুর, গোকুণ্ডা, ইউনিয়নের তিস্তা নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করছে। এতে কৃষকের পাট, কুমড়া, মরিচ, বাদাম, তিল, ধান বিজতলা পানির নিচে তলিয়ে গেছে।

তিস্তা চরের কৃষক আনোয়ার হোসেন জানান, নদীতে পানিতে ধানের বীজতলা তলিয়ে গিয়ে বীজতলা নষ্ট হয়ে গেছে। এখন বর্ষা মৌসুমে ধান রোপণ নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি।

তিস্তার ব্যারাজ এলাকার জেলে আকবার আলী বলেন, ‘গত দুদিন থেকে তিস্তা পানি বৃদ্ধি পাওয়াতে আমার নদীতে মাছ ধরতে পারছি না। আর জালেও মাছও উঠছে না।’

হাতীবান্ধা উপজেলার চর সিন্দুর্না গ্রামের মফিজার রহমান বলেন, ‘হঠাৎ করে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় আমরা আতঙ্কে আছি। যেভাবে পানি বাড়ছে তাতে চর এলাকায় বন্যা দেখা দিতে পারে। সেই সঙ্গে প্রচুর ভাঙনেরও শঙ্কা রয়েছে।’

এ বিষয়ে ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বলেন, ‘উজানের পানি ও বৃষ্টির কারণে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। শনিবার বিকেল থেকে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এভাবে পানি বাড়তে থাকলে বন্যার আশঙ্কা রয়েছে।’

About দৈনিক সময়ের কাগজ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

Scroll To Top
error: Content is protected !!