রাজবাড়ী অফিসঃ ৪ বছর বয়সেই পুত্র সন্তানের জনক হলেন শহর আলী। স্ত্রী তার চেয়ে ১১ বছরের বড়। কাগজ-কলমে সরকারী খাতায় এমনটাই লিপিবদ্ধ হয়েছে। পিতা,পুত্র ও স্ত্রীর জাতীয় পরিচয়পত্রে এমনই ঘটনার দৃষ্টান্ত দেখা দিয়েছে। এতে করে ওই পরিবারটি পড়েছে নানা বিড়ম্বনায়। ঘটনাটি ঘটেছে রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার নারুয়া ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের নারুয়া গ্রামে।
জাতীয় পরিচয়পত্র সুত্রে জানাগেছে, উপজেলার নারুয়া ইউনিয়নের নারুয়া গ্রামের মেছের আলী বিশ্বাসের ছেলে মোঃ শহর আলীর জন্ম তারিখ ১৮ আগষ্ট ১৯৬৩, তার স্ত্রী ঝর্ণা বেগমের জন্ম তারিখ ১৭ মে ১৯৫২ আর একমাত্র ছেলে স্বপন এর জন্ম তারিখ ৫ ফেব্রুয়ারী ১৯৬৭। এতে শহর আলীর বয়স ৫৮ বছর, তার স্ত্রী ঝর্ণা বেগমের বয়স ৬৯ বছর আর ছেলে স্বপনের বয়স ৫৪ বছর।
মোঃ শহর আলী বলেন, আমার ভোটার আইডি কার্ডে জন্ম তারিখ তারা ইচ্ছামতো বসিয়েছে। এ কারণে আমি ভোটার আইডি কার্ড দিয়ে সরকারী বিভিন্ন সহায়তা পেতে বিড়ম্বনার শিকার হতে হচ্ছে। আমার চেয়ে যারা ছোট তারাও বয়স্ক ভাতা পাচ্ছে। আর আমি আইডি কার্ড নিয়ে গেলে বলে আপনার বয়স হয়নি। আমার চেয়ে আমার একমাত্র ছেলে ৪ বছরের ছোট। তাহলে কি আমি ৪ বছরেই বাবা হয়েছিলাম? আবার আমার স্ত্রীর বয়স আমার চেয়েও ১১ বছরের বড়। এখন কি করবো। নির্বাচন অফিসে গেলে তারা সংশোধনীর আবেদন করতে বলেন। আমরা গরিব খেটে খাওয়া মানুষ কার ভূলে আমরা এখন গচ্ছা দিচ্ছি। আমি বিষয়টি তদন্তপুর্বক জাতীয় পরিচয়পত্র যাচাই-বাছাই কার্যক্রমের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানাচ্ছি।
নারুয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুস সালাম মাষ্টার বলেন, আমি তাকে সংশোধনীর জন্য আবেদন করতে বলেছি।
এ বিষয়ে বালিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন আহম্মেদ জানান, আমাদের এখান থেকে সংশোধনের জন্য কাগজ পত্র ঢাকায় পাঠানো হয়। ঢাকা অফিস থেকে সাধারণত এ রকম ভূল হয়ে থাকে। আবার সে প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র নিয়ে এসে আবেদন করলে সংশোধনের জন্য ঢাকায় পাঠানো হবে।