বালিয়াকান্দি (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি ঃ ৩৩ মন ওজনের রাজা, আর ২২ মন ওজনের বাদশা। এ বছর কোরবানীর ঈদকে সামনে রেখে সন্তানের মতো লালন-পালন করে তুলেছেন রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের বড় হিজলী শিকদারপাড়া গ্রামের কৃষক আলমগীর ফকির। সম্পুন্ন প্রাকৃতিক খাবার দিয়ে তৈরী করেছে ৫৫মন ওজনের দুইটি ষাঁড়। যাদের শখ করেই সন্তানের মতো নাম রেখেছেন রাজা ও বাদশা। কোরবানীকে সামনে রেখে রাজা-বাদশাকে বিক্রির ঘোষণা দেওয়ায় উৎসুক ক্রেতারা তার বাড়ীতেই ভীড় জমাচ্ছেন।
শনিবার সকালে বড়হিজলী গ্রামের নাদের আলী ফকিরের ছেলে কৃষক আলমগীর ফকির বলেন, তার পালিত গাভীর গর্ভে সাড়ে তিন বছর পূর্বে সিন্ধি জাতের একটি ষাঁড় বাছুর জম্ম গ্রহণ করে। ওই বাছুরটির নাম রাখা হয় রাজা। বাছুরটি তার মায়ের দুধ এবং প্রাকৃতিক খাবার খেয়ে বর্তমানে ৩৩ মন ওজন হয়েছে। দুই বছর পূর্বে একটি লাল রঙ্গের সিন্ধি জাতের ষাঁড় গরু ক্রয় করি। তার নাম রাখি বাদশা। বর্তমান বাদশার বয়স তিন বছর, তার ওজন ২২ মন। সন্তানের মতো লালন-পালন করে দু,টির ওজন ৫৫মন, রাজা-বাদশার প্রতিদিন দুই হাজার টাকার প্রাকৃতিক খাবার খাওয়াতে হয়। কোরবানীর ঈদকে সামনে রেখে বিক্রির ঘোষণা দেওয়ায় বিভিন্ন এলাকা থেকে ষাঁড় দু,টিকে দেখতে বিভিন্ন এলাকার উৎসুক ক্রেতাগণ আসতে শুরু করেছে। নায্যমুল্যে পেলে তিনি গরু দু,টি বিক্রি করবেন।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা. শাহিনুর ইসলাম বলেন, গরু দু,টি সন্তানের মতো যত্ন করে তৈরী করেছেন। আমরা সব সময়ই খোঁজখবর নেওয়াসহ পরামর্শ দিয়ে আসছি।
