শ্রীপুর প্রতিনিধিঃ
ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কের অংশ জয়দেবপুর থেকে জৈনা বাজার পর্যন্ত ৩৫ কিলোমিটার রোডস এন্ড হাইওয়ের অধিগ্রহণকৃত জায়গায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের পর আবারও দখল করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নির্মাণ শুরু করছেন প্রভাবশালী মহল।
জানা যায়, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক যানজট নিরসন ও মহাসড়ক ফুটপাতমুক্ত করতে ১৫,১৬,১৭জুন মহাসড়কের পাশে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা দোকান উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ)।এ সময় রাজেন্দ্রপুর থেকে জৈনা বাজার পর্যন্ত সড়কের পাশে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা দোকান উচ্ছেদ করা হয়। উচ্ছেদের পর যানজট কিছুটা নিরসন হলেও বর্তমানে এ জায়গা আবার দখল করার ফলে যানজট আগের রূপে ফিরে এসেছে।শুধু তাই নয়, এসব স্থাপনায় অবৈধ বিদ্যুত সংযোগও রয়েছে।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, নয়নপুর ও এমসি বাজারে উচ্ছেদ করা দোকানগুলো পুনরায় ত্রিপল দিয়ে ছাউনি বানিয়ে কেউ বাঁশের খুঁটির উপরে কাঠ দিয়ে টিনের চালা তৈরি করে তার নিচে ব্যবসা পরিচালনা করছেন। জানা যায় প্রত্যেকটা দোকানদারের কাছ থেকে দশ হাজার টাকা করে নিচ্ছেন বাজারের ইজারাদার।দীর্ঘ বছর ধরে এসব অবৈধ স্থাপনা থেকে অনেক প্রভাবশালী মালিকরা ভাড়া দিয়ে মাসে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন।তাই স্থানীয়দের দাবি চলমান উচ্ছেদ অভিযানে মহা সড়কের পাশে থাকা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে মহাসড়ককে যানজটমুক্ত করা হউক।
উচ্ছেদের পর আবার স্থাপনা তৈরি করছেন কিভাবে?এমন প্রশ্নের জবাবে একজন দোকানদার বলেন, কি করবো সামনে ঈদ চলে আসতেছে আমাদের তো কিছু কইরা খাইতে হবে।বাজারের ইজারাদার ও প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই এই সব দোকানপাট করা হচ্ছে। ঘর করতে কত টাকা দিয়েছেন আপনি? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন আমি এখনো দেইনি তবে প্রত্যেকটি ঘরের জন্য ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা চাওয়া হচ্ছে। কেউ ৫ হাজার টাকাও দিচ্ছে।
নয়নপুর বাজারের ইজারাদার শফিকুল ইসলাম মোড়ল দোকানদারদের কাছ থেকে টাকা নেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করলেও দোকানদারদের বেক্তিগত উদ্যোগে স্থাপনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এ ব্যাপারে গাজীপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ সাইফুদ্দিন প্রতিদিনের সংবাদের প্রতিবেদককে জানান, উচ্ছেদ অভিযান প্রক্রিয়াধীন আছে।লগডাউনের কারণে বন্ধ ছিল। আবারও উচ্ছেদ অভিযান চলবে। এবং যারা এ জায়াগাগুলো ফের দখল করছেন দখলদারদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।