শরিফুল ইসলাম, পাংশা :
রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার মৌরাট ইউনিয়নের চড়পাড়া হামিউস সুন্নাহ কওমি মাদ্রাসার মক্তব পড়–য়া ছাত্র মোঃ মেহরাব খাঁন (১২) নামে এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থী গলায় পাগড়ী পেঁচিয়ে আত্মহত্যার করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সে একই ইউপির বড় চৌবাড়ীয়া গ্রামের রব্বেল খানের ছেলে। গত ১২ সেপ্টেম্বর মাগরিবের নামাজের সময় এই আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা।
মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা বলছেন মাগরিব নামাজের আগে মুফতি রিয়াজুল ইসলাম দুষ্টুমি করার কারণে মেহেরাবকে একটু রাগারাগি করেন সেই সূত্রে মেহরাব যেই কক্ষে পড়ে সেই কক্ষের বাসের আড়ার সাথে গলায় পাগড়ী পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন। আমরা তখন সবাই মসজিদে নামাজ পড়ছিলাম।
মেহরাবের দাদা আব্দুর রাজ্জাক খাঁন বলেন, আমি প্রতিদিনের মতো আজকেও আমার নাতি ছেলের জন্য খাবার দিয়ে আসি। পরে খাবার নিয়ে ঘরে ঢুকতেই দেখি মেহরাব তার শয়নকক্ষে ঝুলছে পরে আমি তড়িঘড়ি করে নামিয়ে দেখি সে মারা গেছে।
এবিষয়ে মাদ্রাসার সুপার হাফেজ মাওলানা সিরাজুল ইসলাম বলেন, মেহরাব ও মাদ্রাসার কোন হুজুরের সাথে বাকবিতন্ডা হয়নি। তবে মেহরাব কেন আত্মহত্যা করেছেন এটা আমরা সঠিক জানিনা।
এ বিষয়ে পাংশা মডেল থানার ওসি (তদনত) উত্তম কুমার ঘোষের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান। থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে । লাশ পোস্টমর্টেমে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট হাতে পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।