গাবতলী (বগুড়া) প্রতিনিধি:
বগুড়া গাবতলীতে নদীতে ব্রিজ না থাকায় শত শত শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে. হোসেনপুর জাকারিয়া দাখিল মাদ্রাসা। ১৮৮৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হলে স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে আস্তে আস্তে সচল হতে থাকে। প্রাচীন এই মাদ্রাসায় ১ম শ্রেণী থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত পাঠদান করা হয়। বর্তমানে ৩শতাধিক শিক্ষার্থীদের নিয়ে চলছে পাঠদান। মাদ্রাসার পাশেই ইছামতি নদী প্রবাহিত হয়েছে। বন্যার সময় পানি থই থই করতে থাকে। আনুমানিক ১শতাধিক শিক্ষার্থী আসে গজারিয়া,তীরমহুনী, মাসুন্দি, কেশবের পাড়া, খিরাপাড়া, পোড়াপাড়া.বাহাদুরপুর.প্রথমার ছেও সহ আশেপাশের গ্রাম গুলো থেকে। বন্যার সময় নদী ভড়ে গেলে শিক্ষার্থীদের চলাচলে সমস্যা হয়। ২০০৮ সালে জাহিদুল ইসলাম নামের এক সমাজসেবক এলাকায় থেকে বাঁশ সংগ্রহ করে একটি ব্রীজ নির্মাণ করেন। তাতে শিক্ষার্থী সহ এলাকার কৃষিজীবী পরিবার খুব সহজেই কৃষি কাজ ও ফসল পরিবহন গরু ছাগল পারাপার সহজ ছিল। পরবর্তীতে ব্রীজটি নষ্ট হলে আবারও বন্যা হয়। বন্যার সময় শিক্ষার্থীরা নৌকা যোগে পারাপার হবার সময় নৌকা নদীর গভীর শোতে তলিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। প্রতি বছর বন্যায় এভাবেই তলিয়ে যায় নৌকা। এভাবেই শিক্ষার্থীদের প্রাণহানি ঘটতে পারে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।স্থানীয় একজন কৃষক বলেন, ব্রীজ নাই দেকে হামরা বানের সময় ফসল কাটপের পাইনে। ফসল বাড়িত আনবের পাইনে। গরু ছাগল খাবার পায়না খুব কষ্ট হয়।
শিক্ষার্থীরা জানান, নদী পারাপার হতে আমাদের বই, খাতা, জামাকাপড় ভিজে যায়, ক্লাস করতে পারিনা। নৌকা ডোবার কারনে আমাদের বাবা-মা ভয় পান।মাদ্রাসার সহ-সুপার আব্দুর রাজ্জাক বলেন, এটা খুব ঐতিহ্যবাহী মাদ্রাসা। ব্রীজ না হলে শিক্ষার্থীরা বন্যার সময় নদী পারাপার হতে পারে না। মাদ্রাসার পক্ষ থেকে বাঁশের সাঁকো দিয়েছি। ব্রীজ হলে শিক্ষার্থীরা উপকৃত হবে। সুপার গোলাম মোস্তফা বলেন, ঐতিহ্যবাহী এই মাদ্রাসায় আশার রাস্তা না থাকায় শিক্ষার্থীরা অন্য স্কুলে ভর্তি হচ্ছে ফলে মাদ্রাসা শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। বছর বছর নৌকা ডোবার কারনে শিক্ষার্থীদের জীবন বিপন্ন হতে পারে তাই এখানে ব্রীজ থাকা দরকার।