দৌলতপুর প্রতিনিধি :
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর সাব- রেজিষ্ট্রি অফিসকে কেন্দ্র করে চাঁদাবাজীর অভিযোগ উঠেছে। এই অবস্থায় চরম জিম্মিদশায় উপজেলার সাধারণ জনগণ। চলতি বছরের জানুয়ারী মাসে ঘুষ বানিজ্যের অভিযোগ দুদক রেজিষ্ট্রি অফিসে অভিযান চালায়। ঐ অভিযানে অফিসের অফিস সহকারী মুন্নিকে নগদ টাকা সহ আটক করার পর প্রায় চার মাস বন্ধ থাকে রেজিষ্ট্রি কার্যক্রম।
এরপর থেকে গত কয়েক মাস আগে আবারো রেজিস্ট্রি কার্যক্রম শুরু হলে দলিল লেখক সমিতির স্বঘোষিত সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ কয়েকজনের একটি সিন্ডিকেট মিলে সুকৌশলে শুরু করে দলিল রেজিস্ট্রির নামে চাঁদাবাজি।
সূত্রে জানা যায়, সেকেন্দার, ইয়ারুল,শামসুল, আতিয়ারসহ কয়েকজন দলিল লেখককে দেওয়া হয় ১৪ ইউনিয়নের চাঁদার টাকা আদায়ের দায়িত্ব । সাব রেজিস্ট্রি অফিসের ভিতরে সরকারি ফিস নেওয়া হলেও বাহিরে দলিল ভেদে নেওয়া হচ্ছে অতিরিক্ত টাকা।
যেখানে হ্যাবা দলিল রেজিস্ট্রির জন্য বাহিরের সিন্ডিকেট নিচ্ছে অতিরিক্ত ১৬০০ টাকা এবং কবলা দলিলের জন্য নিচ্ছে ১৯০০টাকা। অতিরিক্ত টাকা না দিলে হয়না রেজিস্ট্রি। চাঁদা আদায় কারী সেকেন্দার, ইয়ারুল, শামসুল, আতিয়ারসহ ঐসকল দলিল লেখকে নিয়ন্ত্রণ করে দলিল লেখক সমিতির স্বঘোষিত সভাপতি বিল্লাল ও সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার। এবিষয়ে একাধিক দলিল লেখক জানান বিল্লাল- দেলোয়ার সিন্ডিকেটের সিল সহি ছাড়া কোন দলিল রেজিস্ট্রি হয় না। ঐ সিন্ডিকেটের সহি সিল আছে কিনা সেটা নিশ্চিত করে মাসুদ নামের একজন দলিল রেজিস্ট্রির জন্য ভিতরে ঢুকায়।
এ বিষয়ে স্বঘোষিত দলিল লেখক সমিতির সভাপতি বিল্লাল হোসেনের সাথে কথা বললে তিনি সহি এবং সিলের কথা স্বীকার করেন, কিন্তু অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করেননি।
এ ব্যাপারে একাধিক ভুক্তভোগীদের সাথে কথা বললে তারা বলেন, আমরা এই সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি। এই জিম্মিদশা থেকে মুক্তি পেতে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।