সম্প্রতি চীনে করোনার প্রকোপ ফের বেড়েছে। এজন্য দেশটিতে করোনা সম্পর্কিত লকডাউন বাড়ানো হয়েছে। ফলে দেশটির অর্থনৈতিক কার্যক্রম কমেছে। এতে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম কিছুটা নিম্নমুখী। কারণ চীন সবচেয়ে বেশি ক্রুড তেল আমদানি করে। যদিও সরবরাহ নিয়ে উদ্বেগ থাকায় সাপ্তাহিক হিসেবে দাম এখনো বেশি রয়েছে। এদিকে রাশিয়ার তেল আমদানি সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করতে যাচ্ছে ইউরোপ। খবর রয়টার্সের।
শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে দেখা গেছে, ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ব্যারেলপ্রতি ১ দশমিক ১ ডলার বা ১ দশমিক ১ শতাংশ কমে ৯৫ দশমিক ৯৪ ডলারে দাঁড়িয়েছে। যদিও এর আগের সেশনে তেলের দাম ১ দশমিক তিন শতাংশ বেড়েছিল। তাছাড়া ইউএস ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের দাম ব্যারেলপ্রতি ১ দশমিক ২৪ ডলার বা ১ দশমিক ৪ শতাংশ কমে ৮৭ দশমিক ৮৪ ডলারে দাঁড়িয়েছে।
ওএএনডিএ-এর সিনিয়র মার্কেট বিশ্লেষক এডওয়ার্ড মোয়া বলেছেন, ডলার দুর্বল হওয়ায় তেলের বাজার সুবিধাজনক অবস্থায় রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, চীনের অর্থনীতিও শিগগির ঘুরে দাঁড়াতে পারে। তবে এই মুহূর্তে উদ্বেগের বিষয় হলো আসন্ন অর্থনৈতিক মন্দা। এতে তেলের চাহিদা কমতে পারে।
চীনে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) পর্যন্ত টানা তিনদিনের মতো এক হাজার জনের ওপরে সংক্রমণ রেকর্ড করেছে দেশটির স্বাস্থ্য বিভাগ। এমন পরিস্থিতিতে সেন্ট্রাল চীনের উহানসহ উত্তর-পশ্চিম চীনের শহরগুলোতে কোভিডসংক্রান্ত বিধিনিষেধ বাড়ানো হয়েছে। এরপরই তেলের দামে পতনের খবর সামানে এল।
অর্থনৈতিক দিক থেকে চীনের চতুর্থ বৃহৎ শহর ও গুয়াংডং প্রদেশের রাজধানী গুয়াংজু। সম্প্রতি শহরটির বিভিন্ন এলাকা ও সড়কে নতুন করে বিধিনিষেধ দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকির মুখে নতুন করে শহরটির বেশকয়েকটি এলাকায় লকডাউন দেওয়া হয়।