কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার লাউবাড়িয়াতে সাধুসঙ্গে বাউলদের ওপর হামলাকারীদের বিচারের দাবি ও প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাউল সম্রাট লালন ভক্তবৃন্দের আয়োজনে শনিবার সকালে কুমারখালী উপজেলার ছেঁউড়িয়া লালন একাডেমির সামনের সড়কে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়া লালন একাডেমির এডহক কমিটির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা তাইজাল আলী খান ও বীর মুক্তিযোদ্ধা জাহিদ হোসেন জাফর, লালন ভক্তবৃন্দের মধ্যে সুফি সাজেদুল ইসলাম ডালিম, ফকির ফজল সাই, ফকির সফি সাই, ফকির মইনুদ্দিন সাই প্রমুখ। মানববন্ধন চলাকালীন পুলিশ প্রশাসন বাউলদের সার্বিক নিরাপত্তা প্রদান করেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ‘লালন অনুসারী ভক্তবৃন্দ সাধুরা খুবই শান্তশিষ্ট প্রকৃতির মানুষ। তাঁরা কোন প্রকার অপরাধমূলক কাজের সাথে জড়িত হয় না। সাধুদের ওপর এমন হামলা কোনোভাবেই কাম্য নয়। এই হামলায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানান বক্তারা।’
পুলিশ ও সাধুসঙ্গ সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার রাতে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার লাউবাড়িয়া এলাকায় পলান ফকিরের বাড়িতে সমবেত হয়েছিলেন সাধুরা। সেখানে তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালান দুর্বৃত্তরা। হামলায় গুরুতর আহতাবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন পাঁচ নারী-পুরুষ লালন ভক্ত। গুরুতর আহত হয়েছেন সবচেয়ে বয়োজ্যেষ্ঠ ফজল ফকির। যার বয়স নব্বইয়ের কোটায়। পিটিয়ে জখম করা হয়েছে ফকিরানীদেরও। এ সময় কয়েকটি ঘরবাড়িও ভাঙচুর করা হয়।
এ ঘটনায় গত মঙ্গলবার দৌলতপুর থানায় ১৯ জনেকে আসামি করে থানায় মামলা করেন পলান ফকির। তবে পুলিশ এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
এ বিষয়ে কুষ্টিয়া দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবুর রহমান জানান, ‘বিষয়টি নিয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চলমান রয়েছে।’