রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার বোয়ালিয়া ইউনিয়নের আমবাড়িয়া গ্রামের আমিরুল ইসলামের বাড়ির পেছনের টয়লেটের সেফটি ট্যাংঙ্কের ভেতর থেকে মো. মোশাররফ মোল্লা (৫৪) নামে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার সকালে ১১টার দিকে স্থানীয়দের সহায়তার মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কালুখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাজমুল হাসান।
জমি বন্ধক রেখে মামাতো ভাইকে টাকা ধারের জের ধরে তাকে খুন করা হয়েছে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা। বেশ কিছুদিন পূর্বে মামাতো ভাইকে এক লক্ষ টাকা ধার দেয় মোশাররফ। সেই টাকা ফেরত চাওয়াতে মোশাররফকে বাড়ীর পাশে একটি বাগানে নিয়ে আসেন নান্নু শাহ। পরে সেখানে মাছ ধরা জালের ফিতা স্বরূপ অংশ গলায় পেচিয়ে হত্যা করে মরদেহ সেফটি ট্যাংকে রেখে চলে যায় নান্নু শাহ।
নিহত মোশাররফ মোল্লা উপজেলার আমবাড়িয়া গ্রামের মৃত মজিদ মোল্লার ছেলে। এ ঘটনায় মোশাররফ মোল্লার মামাতো ভাই নান্নু শাহ (৫০) নামে এক জনকে আটক করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, নিহত মোশাররফ গত ৮নভেম্বর (মঙ্গলবার) রাতে নিখোঁজ হয়। পরদিন কালুখালী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন তার পরিবার। সেই সূত্র ধরেই অনুসন্ধানে নামে পুলিশ। এক পর্যায়ে নান্নু শাহকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি মোশাররফকে হত্যার বিষয়টি স্বীকার করেন। টাকা চাওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে জানায় পুলিশ।
নিহতের মেয়ে জিমি, মোশাররফের কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নিয়েছিল নান্নু শাহ। সেই টাকা চাওয়া নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। পরে টাকা ফেরত দিবে বলে ফোন করে বাবাকে ডেকে নিয়ে যায় নান্নু শাহ। এরপর শ্বাসরোধ করে হত্যা করে সেফটি ট্যাংকের ভেতরে রেখে চলে যায়।
কালুখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. নাজমুল হাসান বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের মেয়ে জিমি বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। গ্রেফতারকৃত আসামিকে আদালতে প্রেরণ করার প্রস্তুতি চলছে।