বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের (শজিমেক) শিক্ষার্থী মেহেরাজ হোসেন ফাহিমকে ছুরিকাঘাতের ৫ ঘণ্টার মধ্যে বাবা-ছেলেকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।
গ্রেফতাররা হলেন- শাকিল ব্যাপারী (২৬) ও তার বাবা ফরিদ ব্যাপারী (৫১)। তারা সদরের মালগ্রাম চাপড়পাড়া এলাকার বাসিন্দা।
ফাহিম রহমানকে ছুরিকাঘাতের ঘটনায় বুধবার রাতেই তার বাবা ঢাকার সবুজবাগ এলাকার বাসিন্দা নুর মোহাম্মদ বগুড়ায় এসে সদর থানায় মামলা করেছেন।
এরআগে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ফাহিম মেডিকেল কলেজ হোস্টেল থেকে বের হয়ে খান্দার নতুন রাস্তার মোড়ে নাস্তা খাওয়ার জন্য যায়। নাস্তা খাওয়ার একপর্যায়ে আলুর চপের মধ্যে ময়লা থাকায় ফাহিমের সঙ্গে আসামি ফরিদ ব্যাপারীর সঙ্গে বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে ফরিদ চিকিৎসক ফাহিমকে ধাক্কা মারে এবং শাকিল ব্যাপারীর হাতে থাকা পিঁয়াজ কাটার ধারালো চাকু দিয়ে ফাহিমকে আঘাত করে। পরে স্থানীয়রা তাকে শজিমেকের জরুরি বিভাগে ভর্তি করে।
শজিমেক ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন রনি জানান, ফাহিমের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ছুরিকাঘাতে তার নাড়ি কেটে গেছে। বৃহস্পতিবার ফাহিমের জ্ঞান ফিরলেও ৭২ ঘণ্টা অতিবাহিত না হলে কিছু বলা যাবে না। রাতেই আসামিদের গ্রেফতার করা হয়েছে।
বগুড়া শজিমেক হাসপাতালের উপ-পরিচালক আব্দুল ওয়াদুদ জানান, আহত ইন্টার্ন চিকিৎসকের অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। তাকে ৪৮ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) শরাফত ইসলাম জানান, ঘটনার পরপর অভিযুক্ত বাবা-ছেলেকে গ্রেফতার করা হয়। ভবিষ্যতে অনাকাঙ্ক্ষিত সবধরনের ঘটনা এড়াতে শজিমেক ক্যাম্পাস প্রশাসনের সঙ্গে পুলিশ কাজ করবে।