আমাদের দেশের প্রায় সব উচ্চশিক্ষাঙ্গনেই র্যাগিংয়ের মত নেতিবাচক সংস্কৃতি চালু আছে।
দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হচ্ছে জ্ঞান চর্চার কারখানা। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাস করে শিক্ষার্থীরা নতুন স্বপ্ন নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। কিন্তু ভর্তির পর তারা এসে পড়েন আদিম যুগের পশুত্বের বর্বরতার মুখে। র্যাগিং, গেস্ট রুম, ম্যানার শেখানোর নামে তাদের উপর যে অত্যাচার, নির্যাতন, নিপীড়ন করা হয় তা হিংস্র পশুর বর্বরতাকেও হার মানায়। এসব মানসিক নির্যাতনের সাথে সাথে চলে বিকৃত যৌনতার প্রদর্শনী আর অশ্লীলতার ছড়াছড়ি। যা অনেক সময় যৌন হয়রানিতে রুপ নেয়। বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে বছরের পর বছর ধরে চলে আসছে এই নোংরা সংস্কৃতি। এমনকি পলিটেকনিক্যাল প্রতিষ্ঠান, ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানেও এসব ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পরেছে।
সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কিছু বাজে র্যাগিং এবং টিজিং এর ঘটনায় দেশজুড়ে সাড়া পরেছে এবং বিভিন্ন মহলে প্রতিবাদ শুরু হয়েছে। মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশে র্যাগিং-বুলিং বিরোধী নীতিমালা বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এর আগেই দেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয় ও উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এন্টি র্যাগিং সেল গঠনের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট।
এদিকে স্যোশাল মিডিয়া খুললেই চোখে পরে এসব বুলিং, টিজিং কে প্রমোট করা শত শত কন্টেন্ট। এমনকি ভাষার মাসে আঞ্চলিক ভাষাকে সম্মান জানানোর উদ্দেশ্যে তৈরি করা একটি বিজ্ঞাপনেও র্যাগিং কে প্রমোট করতে দেখা গেছে। র্যাগিং, টিজিংকে প্রমোট করা শত শত ভিডিও, বিজ্ঞাপন, ফানি কন্টেন্ট র্যাগিং কে উৎসাহিত করছে।
এমতাবস্থায় কতৃপক্ষের উচিত সোশ্যাল মিডিয়া থেকে এসব কন্টেন্ট নিষিদ্ধ করা। প্রয়োজনে এসংক্রান্ত বিধিনিষেধ জারি করতে হবে। এবং র্যাগিং, বুলিং বিরোধী নীতিমালায় পরিস্কারভাবে এসব কন্টেন্ট নিষিদ্ধ করা জরুরি।
তাছাড়া যেহেতু র্যাগিং, টিজিং ফৌজদারী অপরাধ তাই এর প্রমোশনও অপরাধ। সুতরাং আইনগত এবং নৈতিক সকল দিক বিবেচনায় র্যাগিং, বুলিং, টিজিং প্রমোট করা সকল কন্টেন্ট নিষিদ্ধ করতে হবে।
শিক্ষার্থী ও গণমাধ্যমকর্মী