নাম ডা. জেরামি উমালি। স্বদেশ ফিলিপাইনে হলেও গত চার বছর যাবৎ সংযুক্ত আরব আমিরাতে রয়েছেন তিনি। এর আগে আট বছর ছিলেন সৌদি আরবে।
দীর্ঘদিন মুসলিম দেশে থাকায় মুসলিম রীতিনীতি ভালোই শিখে গেছেন ডা. উমালি। ফলশ্রুতিতে তার অভ্যাস-আচরণেও এসেছে পরিবর্তন। খ্রিষ্টান ধর্মানুসারী হয়েও ১২ বছর ধরে প্রতি রমজানে মুসলিমদের মতো রোজা রাখছেন তিনি। দীর্ঘদিন রোজা পালন করতে থাকায় এটি এখন অভ্যাসে পরিণত হয়েছে তার।
ডা. উমালি খালিজ টাইমসকে জানিয়েছেন, সৌদি আরবে ডেন্টিস্টের কাজ করতেন তিনি। শুরুর দিকে বুঝতে পারতেন না, সৌদির লোকেরা দিনের একটি নির্দিষ্ট সময় কেন কিছু খান না। কিন্তু শিগগির রোজা রাখার কারণ ও এর উপকারিতার প্রশংসা করতে শুরু করেন এ চিকিৎসক।
তিনি বলেন, আমি যখন সৌদি আরবে ডেন্টিস্ট হিসেবে কাজ করতাম, তখন দেখতাম, আশপাশের মুসলিম সহকর্মীরা (রমজানে) খাবার ও পানীয় থেকে বিরত থাকে। আমি প্রথমে আশ্চর্য হতাম। কিন্তু দ্রুতই এই রীতি সম্পর্কে জেনে যাই।
রোজা রাখার অভ্যাস প্রসঙ্গে ফিলিপিনো এ নারী বলেন, সৌদি আরবে আট বছর কাজ করার পর আমি ২০১৯ সালে আমিরাতে আসি। কিন্তু এখানে এসেও আমি রোজা রাখা চালিয়ে গেছি।
তিনি বলেন, রমজান মাস হলো নিজের উন্নতি, উদারতা ও আধ্যাত্মিকতার জন্য একটি বিশেষ সময়। তবে এটি মানুষের স্বাস্থ্যের ওপরও ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। এটি ওজন কমাতে সাহায্য করে এবং সামগ্রিক ফিটনেসের উন্নতি ঘটায়। এটি মুসলিম বন্ধু ও সহকর্মীদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা এবং বন্ধুত্বও বাড়িয়ে দেয়