আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
বাঙালি মানেই উড়ুউড়ু মন। একটু সময় পেলেই এখানে সেখানে ঘুরতে যাওয়ার সুযোগ কেউ হারাতে চান না। কলকাতাসহ পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় ভ্যাপসা গরমে নাজেহাল সবাই। চলতি মাসে সরকারি স্কুলগুলোতে ইতোমধ্যে গরমের ছুটি শুরু হয়ে গেছে।
এই ছুটিতেই পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে বিভিন্ন স্থানে ঘুরতে যাওয়ার উপযুক্ত সময়। গরমের হাত থেকে রেহাই পেতে একটু ঠাণ্ডা নিরিবিলি পাহাড়ি গ্ৰামের মনভোলানো পরিবেশ এক মুহূর্তের মধ্যেই সব চিন্ত দূর করবে। ফিরে গিয়ে একেবারে সতেজ মনে, নতুন উদ্যমে কাজে যোগ দেওয়া যাবে। গরমের ছুটিতে এই ঘুরে বেড়ানোই আপনার ও আপনার পরিবারের সদস্যদের মনে বহুদিন পর্যন্ত স্মৃতিতে উজ্জ্বল হয়ে থাকবে।
এই পাহাড়ী গ্ৰামে বেড়িয়ে আসা পর্যটকরা হলফ বলছেন, মানসিক শান্তির পাশাপাশি এখানে একবার গেলে কারও আর ফিরে আসতে মন চাইবে না। পশ্চিমবঙ্গের উত্তরবঙ্গ পাহাড়ের কোলঘেঁষে এমন বহু জায়গা আছে। সেখানকার অনিন্দ্যসুন্দর মনভোলানো প্রাকৃতিক শোভা ভাষায় বর্ণনা করা কঠিন। প্রকৃতি যেন সময় নিয়ে নিজের হাতে সাজিয়েছে পাহাড়ের কোলের ছোট্ট এই গ্ৰামকে।
পশ্চিমবঙ্গের কালিম্পং জেলার বারমিয়াক ডিভিশনের শান্ত-কোলহালহীন এই গ্রামের নাম ধুরা। বছরভর মনোরম আবহাওয়া বিরাজ করে এখানে। এই গ্ৰামে কাটানো প্রতিটা মুহূর্তই দারুন উপভোগযোগ্য। নিরিবিলি শান্ত পরিবেশে হাতে গোনা কয়েকটি পরিবারের বাস এখানে।সাজানো-গোছানো পরিপাটি পাহাড়ি গ্ৰাম ধুরার মানুষদের ব্যবহার ও আতিথেয়তা মন ভুলিয়ে দেয়।
হিমালয়ের কোলের এই গ্ৰামকে সারিবদ্ধভাবে ঘিরে রেখেছে পাইন গাছ। পাহাড়ি জঙ্গল ঘেরা এই গ্রামের জঙ্গলে চিরতার গাছ, আমলকী-হরতকী ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের নাম না জানা গাছের দেখা মিলবে। এছাড়া পাহাড়ের ঢালে দাড়িয়ে নিচে তাকালে দেখা মিলবে সুন্দরী তিস্তা নদীর। থাকার জন্য রয়েছে গ্ৰামের হোমস্টে। সব ধরনের খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা আছে এখানে। তবে সাধারণত ঘুরতে আসা পর্যটকরা গ্ৰামের ঐতিহ্যপূর্ণ খাওয়ার প্রতিই বেশি মনোযোগী।