আন্তর্জাতিক ডেস্ক: গত কয়েকদিনের মতো বৃহস্পতিবারও (১১ মে) বিশ্বের সবচেয়ে উত্তপ্ত শহরের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে মিয়ানমারের চাউক। তবে আজ অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় যেন দক্ষিণ এশিয়াতেই গরম বেশি পড়েছে। কারণ তালিকার শীর্ষ ১০টি শহরের মধ্যে চারটিই রয়েছে এ অঞ্চলের।
তাপমাত্রা বিষয়ক ওয়েবসাইট এলডোরাডো ওয়েদার ডটকমের তথ্যমতে, বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় দুপুর ৩টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় চাউকের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪৫ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এর পরের স্থানে রয়েছে পাকিস্তানের ছোর শহর। সেখানকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪৫ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তৃতীয় স্থানে থাকা নাইজারের টিলাবেরি শহরেও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪৫ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
চতুর্থ স্থানে রয়েছে পাকিস্তানের নওয়াবশাহ শহর। সেখানে গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তালিকার পঞ্চম স্থানে রয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার আরেক দেশ ভারতের জলগাঁও। শহরটিতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪৪ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
নাইজারের দ্বিতীয় শহর হিসেবে তালিকার ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে গৌরে। শহরটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
সপ্তম, অষ্টম, নবম স্থানগুলোতে রয়েছে পশ্চিমা আফ্রিকার তিন দেশের তিন শহর- মালির মপ্তি শহরে ৪৪ দশমিক ৫, নাইজারের বির্নি-এন’কনিতে ৪৪ দশমিক ৪ ডিগ্রি এবং বুরকিনা ফাসোর উয়াহিগুয়া শহরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪৪ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
দশম স্থানে রয়েছে ভারতের আরেকটি শহর বল্লভ বিদ্যানগর। গত ২৪ ঘণ্টায় গুজরাট রাজ্যের শহরটিতে সর্বোচ্চ ৪৪ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
তালিকার ১১তম স্থান বুরকিনা ফাসোর বোগান্ডে (৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস) দখলে রাখলেও পরের চারটি অবস্থানেই রয়েছে এশিয়ার চার শহর, যার মধ্যে তিনটিই দক্ষিণ এশিয়ার।
তালিকায় ১২তম স্থানে পাকিস্তানের হায়দ্রাবাদ বিমানবন্দর (৪৪ ডিগ্রি), ১৩তম স্থানে একই দেশের জ্যাকোবাবাদ (৪৪ ডিগ্রি), ১৪তম স্থানে সৌদি আরবের দাম্মাম (৪৪ ডিগ্রি) এবং ১৫তম স্থানে রয়েছে ভারতের বাড়মের শহর (৪৩ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস)।
অর্থাৎ, গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বের সর্বোচ্চ উত্তপ্ত শহরগুলোর তালিকায় শীর্ষ ১৫টির মধ্যে সাতটিই রয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার (পাকিস্তানের চারটি, ভারতের তিনটি)।
উল্লেখ্য, আবহাওয়ার এসব তথ্য ওজিমেট ডটকম নামে একটি ওয়েবসাইট থেকে সংগ্রহ করেছে এলডোরোডো ওয়েদার ডটকম। ওজিমেট মূলত অনলাইনে উন্মুক্ত তথ্য ব্যবহার করে, যার বেশিরভাগই নেওয়া হয় যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি সংস্থা ন্যশনাল ওসিয়ানিক অ্যান্ড অ্যাটমোস্ফেরিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এনওএএ) থেকে। এসব তথ্য ভুল-ভ্রান্তির ঊর্ধ্বে নয় বলে ওজিমেটের ওয়েবসাইটে উল্লেখ রয়েছে।