Wednesday , March 19 2025
You are here: Home / রাজশাহী ও রংপুর / দুই সপ্তাহ ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কেজিতে বেড়েছে ৩০ টাকা
দুই সপ্তাহ ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কেজিতে বেড়েছে ৩০ টাকা

দুই সপ্তাহ ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কেজিতে বেড়েছে ৩০ টাকা

রাজশাহী প্রতিনিধি:

এদিকে, এলসি বন্ধ থাকার কারণে বাজার ক্রমেই অস্থিতিশীল হয়ে উঠছে বলছেন ব্যবসায়ীরা। পেঁয়াজ আমদানি না করা পর্যন্ত দাম কমার সম্ভাবনা নেই বলেও জানাচ্ছেন তারা।

বৃহস্পতিবার (১৮ মে) রাজশাহীর পাইকারি বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা কেজি দরে। আর খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৭৫ থেকে ৮০ টাকায়।

ক্রেতারা বলছেন, পেঁয়াজের দাম যেভাবে বাড়ছে এতে ক্রমেই পণ্যটি সাধারণ ভোক্তার ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে। দাম বাড়ার পেছনের স্থানীয় সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের দায়ী করছেন ক্রেতারা। এ বিষয়ে সরকারের হস্তক্ষেপ চান তারা।

রাজশাহীর সাহেব বাজারের পাইকারি ব্যবসায়ী গোলাম মোর্তোজা বলেন, আমদানি নেই। চাহিদা বেশি। তাই দাম বাড়ছে। বেশি দামেও পেঁয়াজ মিলছে না।

তিনি বলেন, সোনামসজিদ বন্দর দিয়ে যে এলসি পেঁয়াজ আসে এর সিংহ ভাগই রাজশাহীর চাহিদা পূরণ করে। এলসি বন্ধ থাকার কারণে বাজার ক্রমেই অস্থিতিশীল হয়ে উঠছে। পেঁয়াজ আমদানি না করা পর্যন্ত দাম কমার কোনো সম্ভাবনা নেই।

সাহেববাজারে পেঁয়াজ কিনতে এসেছেন সানজিদা বেগম। তিনি বলেন, গত এক সপ্তাহেই পেঁয়াজ দাম বেড়েছে ১০ টাকা। গত সপ্তাহে ৭০ টাকা কেজি কিনেছি। আজ বাজারে এসে দেখি ৮০ টাকা।

তিনি বলেন, এসময় পেঁয়াজের একটি সিন্ডিকেট তৈরি হয়। প্রতিবছরই এমন সময় দাম বাড়ে। সরকারের কাছে অনুরোধ, এগুলোকে কঠোর হাতে দমন করা হোক।

সাহেববাজার থেকে পেঁয়াজ কিনলেন ফারুক হোসনে। তিনি বলেন, প্রতিদিনই তো দুই-তিন টাকা করে দাম বাড়ছে। এখন তো দেখছি পেঁয়াজ কেনাই যাবে না। প্রতিদিন অল্প অল্প করে কিনছি। দাম একটু কমলে বেশি পরিমাণে কিনবো।

রাজশাহী নিউ মার্কেট এলাকার খুচরা পেঁয়াজ বিক্রেতা আলমগীর হোসেন বলেন, দুই সপ্তাহ আগে পাইকারি পেঁয়াজ কিনেছি ৪০-৪২ টাকা কেজি দরে। তখন বিক্রি করেছি ৪৩-৪৫ টাকা কেজি। দুই সপ্তাহের ব্যবধানে পাইকারিতে দাম বেড়ে হয়েছে ৭০ থেকে ৭৫ টাকা। এখন বিক্রি করছি ৭৫-৮০ টাকা কেজি দরে।

রাজশাহী জেলা বাজার নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা মনোয়ার হোসেন বলেন, পেঁয়াজের দাম ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিভিন্ন উপজেলা থেকে এসব পেঁয়াজ আসছে। এখন চাষির ঘরে ৩০ শতাংশ ও ব্যবসায়ীদের কাছে ৭০ শতাংশ পেঁয়াজ আছে। চাষিরা ৬২-৬৫ টাকা কেজি বিক্রি করছেন। বিক্রেতারা এটা ৭০-৭৫ টাকা দরে পাইকারি বিক্রি করছেন।

তিনি বলেন, বেশি দামের কারণে চাষিরা বেশি না ছেড়ে অল্প অল্প করে বিক্রি করছেন। ভোক্তারা একটু কষ্ট পেলেও চাষিরা লাভবান হচ্ছেন। রাজশাহী জেলাতে চাহিদা রয়েছে ৪৮ থেকে ৫০ হাজার মেট্রিক টন। এবার এখন পর্যন্ত উপাদান হয়েছে দেড় লাখ মেট্রিক টন। আশা করছি, আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই দাম কমে আসবে।

About দৈনিক সময়ের কাগজ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

Scroll To Top
error: Content is protected !!