গত বছরের নভেম্বরে ব্যাংককে এশীয়-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোটের (অ্যাপেক) সম্মেলনে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ও সৌদি যুবরাজ মোহাম্মাদ বিন সালমান এমন সিদ্ধান্ত নেন। যৌথ বিবৃতিতে তারা বলেন, ‘পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও অভিন্ন স্বার্থের ভিত্তিতে দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুণঃস্থাপনের জন্য সিদ্ধান্তটি নেওয়া হয়েছে।’
জাস্টিন ট্রুডোর সাবেক বৈদেশিক নীতির উপদেষ্টা ও অটোয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রোল্যান্ড প্যারিস বলেন, ‘আঞ্চলিক শক্তির দিক থেকে সৌদি আরব গুরুত্বপূর্ণ। দেশটির সঙ্গে যোগাযোগ সচল রাখতে পুনরায় রাষ্ট্রদূত নিয়োগ করাই যৌক্তিক।’
২০১৮ সালে সাংবাদিক জামাল খাশোগির হত্যায় সৌদি আরবের নিন্দা জানিয়েছিল কানাডাসহ অন্যান্য পশ্চিমা দেশ। একই বছর রিয়াদে কানাডার দূতাবাস থেকে সৌদি আরবের আটককৃত নারী অধিকারকর্মীদের অবিলম্বে মুক্তি দাবি করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে পোস্ট করেন কর্মকর্তারা।
এ ঘটনায় অটোয়া থেকে রাষ্ট্রদূত ফিরিয়ে নেওয়াসহ নতুন বাণিজ্যের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে রিয়াদ। বিষয়টিকে ‘শাস্তিমূলক বাণিজ্য প্রত্যাহার’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা। তবে বিরোধের ফলে দুই দেশের বাণিজ্যে কী প্রভাব পড়েছিল সে বিষয়ে স্পষ্ট জানা যায়নি। ২০২১ সালে আরব দেশ গুলোর মধ্যে সৌদি আরবে সর্বোচ্চ মূল্যের পণ্য রফতানি করে কানাডা। সরকারি তথ্যমতে, সে বছর কানাডা প্রায় ১ দশমিক ৬৫ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রফতানি ও ২ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি করে সৌদি আরব থেকে। কানাডার বেশিরভাগ আমদানি ছিলো তেল ও পেট্রোকেমিক্যালজাত পণ্য। অপরদিকে সৌদি আরবের আমদানির প্রায় ৮০ শতাংশই ছিল পরিবহণ সরঞ্জাম।