Thursday , February 6 2025
You are here: Home / অন্যান্য / দেশে প্রথমবারের মতো উৎপাদিত হয়েছে সুপার সুইট এমডি-টু আনারস, রপ্তানি শুরু
দেশে প্রথমবারের মতো উৎপাদিত হয়েছে সুপার সুইট এমডি-টু আনারস, রপ্তানি শুরু

দেশে প্রথমবারের মতো উৎপাদিত হয়েছে সুপার সুইট এমডি-টু আনারস, রপ্তানি শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদক:   [২] দেশে এ জাতের আনারসের চাষ জনপ্রিয় করতে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাকের নির্দেশনায় উদ্যোগ গ্রহণ করে কৃষি মন্ত্রণালয়। ফিলিপাইন থেকে আমদানি করে গতবছর প্রথম দেশে এ জাতের চারা টাঙ্গাইল, রাঙ্গামাটি, বান্দরবন খাগড়াছড়ি জেলার কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়েছিল। সেগুলোতে এ বছর ফলন এসেছে, সব মিলিয়ে ৩০০ টন।

[৩] যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জের পাইনঅ্যাপেল রিসার্চ ইনস্টিটিউট ( পিআরআই) ১৯৬১-৮০ সাল পর্যন্ত গবেষণা করে এ জাতের আনারস উদ্ভাবন করে। এর ব্যতিক্রমী গুণের কারণে ইতিমধ্যে ইউরোপ-আমেরিকাসহ বিশ্বজুড়ে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

[৪] এ আনারসের আকার বড়ো। দেশীয় আনারসের তুলনায় এটি অনেক বেশি মিষ্টি। ভিটামিন সি’র পরিমাণ দেশী আনারসের চেয়ে তিন-চার গুণ বেশি। এই আনারস সহজে পচে না। এ ছাড়া দেশীয় আনারসের চোখগুলো থাকে ভেতরের দিকে। নতুন এই জাতের আনারসের চোখগুলো থাকে বাইরের দিকে। ফলে পুষ্টিগুণ সম্পন্ন অংশের অপচয় কম হয়। পোকার আক্রমণ কম হয়। এই আনারসে দেশীয় আনারসের মতোই ১২ মাসে ফলন আসে।
[৫] বছরব্যাপী ফল উৎপাদনের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক ড. মেহেদী মাসুদ  আমাদের নতুন সময়কে সারাদেশের পাহাড়গুলোতে এ জাতের আনারস চাষ করলে ৪ থেকে ৫ লাখ টন উৎপাদন সম্ভব। আর এই পরিমান উৎপাদন হলে এই দেশের চাহিদা মিটিয়ে এটি বিদেশেও রপ্তানি করা সম্ভব।

[৬] টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার মহিষমারা গ্রামের বঙ্গবন্ধু কৃষি পদক প্রাপ্ত কৃষক ছানোয়ার হোসেন জানান, তিনি এজাতের আনারস চাষ করেছেন। এবছর ফলন মোটামুটি ভালো। তিনি আশা করছেন আগামী বছর আনারসের গাছগুলো এদেশের আবহওয়ার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হলে ফলন  আরো বৃদ্ধি পাবে। তবে এনিয়ে আরও রিসার্চের প্রয়োজন রয়েছে।

[৭] মধুপুরের আউশনার ইউনিয়নের আউশনাড়া কলেজের অধ্যক্ষ কামরুজ্জামান জুয়েল জানান, তার বাগানের এমডি-২ আনারসের ফলন এ বছর কম হলেও আগামীতে ভালো ফলন পাওয়ার আশা করছেন তিনি। এবছর নতুন করে তিনি  আরও দশ হাজার চারা রোপণ করেছেন।

[৮] কৃষিবিদ আল মামুন রাসেল জানান, মধুপুরে ২০২২ ও ২০২৩  এ দুই অর্থবছরে  প্রথম প্রর্যায়ে ১০৭ জন নির্বাচিত কৃষকদের মাঝে পাঁচ লক্ষ ৮৯ হাজার ৫০০টি চারা (ছাকার) বিতরণ করা হয়েছে; যা উৎপাদন পর্যায়ে পৌঁছেছে। এবছর নতুন করে ১২০ জন কৃষকের মাঝে দুই লক্ষ ৭০ হাজার চারা বিতরণ করা হয়েছে। এতে মোট প্রায় ২২ হেক্টর জমিতে  এমডি-২ জাতের আনারস চাষ হয়েছে।

About দৈনিক সময়ের কাগজ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

Scroll To Top
error: Content is protected !!