রফিকুল ইসলাম রনজু (কুড়িগ্রাম) : ভূরুঙ্গামারীতে রেজাউল হক নামের এক ব্যক্তির মুদির দোকানে অগ্নিসংযোগের ঘটনার মামলায়, প্রতিপক্ষকে ফাঁসানোর অভিযোগে তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই নওশাদ আলীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী আয়নাল হক।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, গত বুধবার (২১ জুন) মধ্য রাতে দেওয়ানের খামার এলাকার রেজাউল হকের মুদির দোকানে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। ঐ ঘটনায় পরের দিন রেজাউল হক বাদী হয়ে ভূরুঙ্গামারী থানায় অজ্ঞাত নামায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ দায়েরের পর রেজাউল হক কৌশলে তার দূর সম্পর্কের আত্মীয় ভূরুঙ্গামারী থানায় কর্মরত এসআই নওশাদ আলী (বিপি নং- ৭৭৯৬০১৮০৭) কে দায়িত্ব নিয়ে দেন। এস আই নওসাদ আলী মামলার তদন্তের দায়িত্ব পেয়ে, তার আত্মীয় রেজাউল হকের পক্ষ নিয়ে গত ২৪/০৪/২০২৩ ইং তারিখে ভুক্তভোগী জুলেখা বেগম এর বাড়িতে গিয়ে বলে রেজাউল হকের সাথে জমি-জমার বিরোধ নিয়ে এ ঘটনা ঘটাতে পারে, এমনটি দাবী করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। জমি-জমার বিরোধ মিমাংসা করাসহ এই মামলা হতে তাদের ২ জনকে অব্যাহতি দিবে মর্মে, জুলেখা বেগমের কাছে ২ লক্ষ টাকা দাবী করেন। কেন টাকা দিতে হবে জুলেখা বেগম জানতে চাইলে, তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে হুমকি দিয়ে বলে টাকা না দিলে আমি এই মামলায় স্বামী-স্ত্রী আপনাদের দুই জনকেই অগ্নিসংযোগের এই মামলায় জেলহাজতে পাঠিয়ে রেজাউলকে জমির দখল বুঝিয়ে দিবো।
এসআই নওসাদকে টাকা না দিলে পরবর্তীতে প্রতিহিংসা বশত: আয়নাল হক কে মিথ্যা মামলায় জড়ানোর চক্রান্ত করে, হায়দার আলীকে কুলি শ্রমিক সংগঠনের সদস্য সাজিয়ে কুলি শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আয়নাল হকের নির্দেশে উক্ত ঘটনা ঘটেছে মর্মে বিজ্ঞ আদালতে একটি মিথ্যা, বানোয়াট ও মনগড়া প্রতিবেদন দাখিল করেন এসআই নওশাদ আলী। এবং গত (২৫ জুন) অপর একটি মামলার ওয়ারেন্ট ভুক্ত আসামি হায়দার আলীকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে থানায় নিয়ে এসে মারপিট করে এসআই নওশাদ আলী। জোর পূর্বক হায়দায় আলীকে স্বীকার করায় আয়নাল হকের নির্দেশে সেই রাতে দোকানে আগুন দিয়েছে। আবার সেই স্বীকারোক্তি মোবাইলে ধারন করে রাখে। পরের দিন (২৬ জুন) সকালে আসামীকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করেন। জুলেখা বেগম অপর একটি চেকের মামলায় আদালতে গেলে আদালত প্রাঙ্গণে তাকে দেখা মাত্র এসআই নওসাদ আলী জুলেখা বেগমের সাথে খারাপ আচরন করে বলে, বেশি বাড়াবাড়ি করলে তাকেও মামলায় আসামী করে জেলহাজতে পাঠাবে এবং বিভিন্ন অশ্লীলভাষায় গালি-গালাজসহ বিভিন্ন ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন।
ভুক্তভোগীর করা ১৫৭৪ নং জিডির বিজ্ঞ আদালতের স্মারক নং ৬৩৬৪(২),১২/০৯/২৪ ইং মূলে অত্র থানায় অধর্তব্য অপরাধ তদন্তের অনুমতির আদেশ প্রাপ্ত হয়ে বিজ্ঞ আদালতে দাখিল কৃত প্রতিবেদন সুত্রে প্রাপ্ত তথ্য মতে গত ২১/০৬/২০২৩ ইং তারিখে আনুমানিক ২.৩০ ঘটিকার সময় ঝড় বৃষ্টি হলে বিবাদীগনের বসত বাড়ির সীমানায় থাকা উক্ত বৈদ্যুতিক খুঁটিতে থাকা ডিসের মেশিন ও ডিস লাইনের তার বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের কারনে পুড়ে যায়। ভুক্তভোগী আয়নাল হক বলেন, হয়তো বা বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের কারনে রেজাউল হকের দোকান টি পুড়ে যেতে পারে। ভুক্তভোগী আয়নাল হক আরো বলেন, রেজাউলদের সাথে আমাদের দীর্ঘ দিন হতে জায়গা জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসায় তার আত্তীয় এসআই নওশাদ আলী কে দিয়ে আমাকে এবং আমার ক্যান্সার রোগের অসুস্থ স্ত্রী জেলেখা বেগম কে এই মামলায় অভিযুক্ত করে বিজ্ঞ আদালতে প্রতিবেদন দিয়ে ফাঁসানো হয়। তিনি আরো বলেন এ সকল অন্যায়ের প্রতিকার চেয়ে আমি বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করেছি।
এবিষয়ে এসআই নওশাদ আলীর কাছে জানতে তার মোবাইল ফোনে কল দিলে তিনি মোবাইল ফোনে সাক্ষাৎকার দিতে রাজি নয় বলে জানান। তিনি আরও বলেন, সামনা সামনি আসিয়েন এই বিষয়ে সাক্ষাতে কথা বলবো।