ব্যক্তিগত তথ্য যাতে বেহাত না হয়, বেহাত হলেও কেউ যাতে কোনও ক্ষতি করতে না পারে বা ক্ষতি করলেও যাতে ক্ষতিপূরণ আদায় সহজ হয় সেজন্য ‘ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা আইন’ প্রণয়নের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এরইমধ্যে সার্ভের কাজ শেষ হয়েছে। ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ এখন প্রতিবেদনের অপেক্ষায় রয়েছে। প্রতিবেদন পেলেই খসড়া তৈরির কাজ শুরু হবে।
ব্যবহারকারীরা ফেসবুক, গুগল, ইউটিউবসহ অন্যান্য মাধ্যম ব্যবহারের সময় (বিশেষ করে আইডি তৈরির সময়) যেসব ব্যক্তিগত তথ্য দিয়ে থাকেন তা নিরাপদ রাখার দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট কোম্পানির। কিন্তু অনেক সময় দেখা যায়, ওইসব প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যক্তির সেসব তথ্য বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করে বা অর্থের বিনিময়ে তৃতীয় কোনও প্রতিষ্ঠানকে দিয়ে দেয়। এই অভিযোগ ফেসবুকের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি। অভিযোগ রয়েছে, ফেসবুক থেকে প্রায় ৯ কোটি গ্রাহকের তথ্য ভিন্ন প্রতিষ্ঠানের হাতে চলে যায়। গুগলের বিরুদ্ধেও আছে এমন অভিযোগ। উন্নত দেশগুলোতে ব্যক্তির এসব তথ্য উদ্ধার বা তথ্যর অপব্যবহারের জন্য ক্ষতিপূরণ আদায়ে আইন থাকলেও আমাদের দেশে নেই। এসব প্রতিষ্ঠান যদি দেশের মানুষের কোনও তথ্য চুরি করে বা তৃতীয় কোনও পক্ষের কাছে বিক্রি করে তাহলে তাদের ধরা কঠিন। ওই সব প্রতিষ্ঠানের এ দেশে নিবন্ধিত কোনও অফিসও নেই।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা আইন থাকলে ওইসব প্রতিষ্ঠান স্থানীয় আইন মেনে চলতে বাধ্য থাকবে এবং তাদের নিয়ন্ত্রণও করা যাবে। ব্যবহারকারীর তথ্যর কোনও অপব্যবহার হলে সহজে ক্ষতিপূরণ আদায়ও করা যাবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘যত দ্রুত সম্ভব আমরা ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা আইন (ডাটা সিকিউরিটি অ্যাক্ট) তৈরি করে ফেলবো। আমরা এ বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছি এবং কাজও অনেক দূর এগিয়েছে।’