কুষ্টিয়া সদর উপজেলার কমলাপুর করানা আতঙ্ককে উপেক্ষা করে মাইকিং করে চলছে পেঁয়াজের হাট। গত বুধবার থেকে মাইকিং শুরু করে হাট মালিক। এই হাট মালিক জেলা প্রশাসকের নির্দেশনা কে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে প্রকাশ্যে নিরাপদ দূরত্ব না রেখেই চালাচ্ছে এই পিঁয়াজের হাঁট। হাট মালিক কুষ্টিয়া সদর উপজেলার জিয়ারখী ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের শলক বিশ্বাসের ছেলে ডবল হত্যা মামলার আসামি ফারুক।
এদিকে কমলাপুর এলাকার মানুষ ভুগছেন করোনা আতঙ্কে। তাদের দাবি ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ সহ বিভিন্ন জেলার ব্যাপারিরা পিঁয়াজ ক্রয় করতে এখানে আসছেন। হাট মালিক এলাকার প্রভাবশালী ব্যাক্তি। তিনি সম্পত্তি ওই এলাকার দুই ভাইকে কুপিয়ে হত্যার অন্যতম আসামি। তার বিরুদ্ধে কথা বললে এমন পরিণতি হবে ভেবেই আমরা প্রতিবাদ করার সাহস পাই না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি জানান, এই হাট মালিক ফারুক তিনি স্থানীয় চেয়ারম্যানের সাথে আঁতাত করে হাট চালাচ্ছে। ফারুক নিজে এখন পলাতক রয়েছেন।
এব্যাপারে জিয়ারখী ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সাজাহান আলীর মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, পিঁয়াজ সংকট যাতে না হয় সেজন্য আমরা পিঁয়াজের হাট বসিয়েছি। আমাদের এলাকার এই পিয়াল ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ সহ বিভিন্ন জেলায় যাই। জেলা প্রশাসকের নির্দেশনা অমান্য করা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে? তিনি বলেন, আমি মাইকিং করিনি হাট মালিক মাইকিং করেছে।
এলাকাবাসী দ্রুত এই পিঁয়াজের হাঁট বন্ধ করার দাবি জানিয়েছেন।