Wednesday , May 22 2024
You are here: Home / ঢাকা ও ময়মনসিংহ / মুন্সীগঞ্জে নতুন ৩০জনের করোনা শনাক্ত : জেলায় ১১২
মুন্সীগঞ্জে নতুন ৩০জনের করোনা শনাক্ত : জেলায় ১১২

মুন্সীগঞ্জে নতুন ৩০জনের করোনা শনাক্ত : জেলায় ১১২

মুন্সীগঞ্জের ছয় উপজেলায় নতুন করে আরও ৩০ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে জেলায় করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১০৯ জনে। এদিকে, আইইডিসিআরের ওয়েবসাইটে জেলায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা এ পর্যন্ত ১১২ জন দেখানো হচ্ছে। বাকি তিনজনের রিপোর্ট জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের কাছে পৌঁছেনি। এছাড়া করোনা পরীক্ষার ফলাফলের অপেক্ষায় রয়েছেন আরো ১৩০ জন।

শুক্রবার (১ মে) সকালে ও দুপুরে ’নিপসম’ ও ’আইইডিসিআর’ থেকে ১৪৩ জনের সোয়াব পরীক্ষার রিপোর্ট পাঠানো হয় । এরমধ্যে একজন মৃত নারীসহ ৩০ জনের সোয়াব পরীক্ষার ফলাফল পজিটিভ আসে বাকি ১১৩ জনের নেগেটিভ। দুপুরে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন মুন্সীগঞ্জ সিভিল সার্জন ডা. আবুল কালাম আজাদ।

এসময় তিনি বলেন, ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব প্রিভেন্টিভ অ্যান্ড সোশ্যাল মেডিসিনে (নিপসম) পাঠানো সোয়াব গুলোর ফলাফল সময় মতো জেলায় পাঠিয়েছে । এছাড়া তারা (নিপসম) রোগীদের মোবাইল ফোনে মেসেজের মাধ্যমে তাদের নমুনার রিপোর্ট পাঠিয়ে দিচ্ছে । এতে করে রোগীরাও সাথে সাথে তাদের রিপোর্টের ফলাফল জানতে পারে। এছাড়া অনেকের উপসর্গ দেখা দিচ্ছে না । এতে করে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে বলে আশঙ্কা করছেন এ কর্মকর্তা।

নতুন আক্রান্তরা হলেন, সদর উপজেলায় সিভিল সার্জন অফিসের জেলা স্যানেটারী ইন্সপেক্টর গাজী আমিন (৫৪), সদরের সিভিল সার্জন গাজী আমিন (৫৪), জেনারেল হাসপাতাল ব্রাদার (৫২) , খালইস্ট এলাকার নারী (৬০) , রামপালের পুরুষ (২৫), হাতিমারা পুরুষ (৬০), পঞ্চসার গ্রামের নারী (৪৫) এবং নারায়ণগঞ্জে মারা যাওয়া বৈখর গ্রামের নাজমা বেগম (৮০)। সিরাজদিখান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তিন নারী (২৬) ,(২৬) ও (২৫), সিরাজদিখান পল্লী বিদ্যুতের দুই পুরুষ (৩২) ও (২৯), লতব্দির এলাকার দুই পুরুষ (৩৫) ও (৩২), কাদিরপুর গ্রামের নারী (৩৩) ও ভাটিমভোগ নারী (২৪)। লৌহজং উপজেলার নাগেরহাট গ্রামের একই পরিবারের ছয়জন হলো, দুই নারী (৪০), (৪৬) এক কিশোরী (১৭) তিন কিশোর (১৫), (১৬) ও (১৭) এবং একই গ্রামের আরেক নারী (৯০) ও নোয়াকান্দা কিশোর (১৩)। টংগিবাড়ী উপজেলার পোদ্দারপাড়া গ্রামের পুরুষ (৩৫), ধামারন গ্রামের পুরুষ (৫৩)। গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক পুরুষ (৪৯) ও (৪৪)। শ্রীনগরের বেজগাঁও গ্রামের পুরুষ (২৮) ।

সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, আইইডিসিআর থেকে ৯৬টি ও নিপসম থেকে ৪৭টির ফলাফল আসে। এরমধ্যে ২৮জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)। অন্যদিকে ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব প্রিভেন্টিভ অ্যান্ড সোশ্যাল মেডিসিনে (নিপসম) পাঠানো ৪৭টি নমুনার মধ্যে দুইজনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়। এ নিয়ে জেলায় সর্বমোট ১০৯ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে । এরমধ্যে ৭ জন মৃত ও ৪ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। আজ ৬৬ জনের সোয়াবসহ জেলার মোট ৮১৭ জনের নমুনা এ পর্যন্ত পাঠানো হলে, ৬৮৭ জনের নমুনার ফল পাওয়া গেছে।

সিভিল সার্জন আবুল কালাম আজাদ বলেন, করোনা ভাইরাস মুন্সীগঞ্জের সর্বত্রই ছড়িয়ে পড়ছে। প্রথম দিকে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ থেকে আসা ব্যক্তিরা আক্রান্ত ছিলেন। এখন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের বেশির ভাগই পুরানোদের সংস্পর্শে এসে হচ্ছেন। যাদের সামান্য উপসর্গ দেখা দিবে তারা যেনো করোনা পরীক্ষা করার জন্য স্বাস্থ্য বিভাগকে তাদের নমুনা দেওয়া পাশাপাশি আইসোলেশনে থাকে। এদিকে, সময় মত জেলায় সোয়াব পরীক্ষার রিপোর্ট না আসা এবং করোনা রিপোর্টের তথ্য আইইডিসিআর ও জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের সাথে গড়মিলের বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, আইইডিসিআর থেকে নিয়মিত সবগুলো সোয়াবের ফলাফল পাওয়া যাচ্ছে না । এখনও আইইডিসিআরে ২৭ ও ২৮ এপ্রিল পাঠানো সোয়াব পরীক্ষার ফলাফল সম্পর্কে কিছুই জানায়নি।

অন্যদিকে গত ২৯ এপ্রিল ‘নিপসম’ পাঠানো রিপোর্ট চলে এসেছে। তিনি প্রত্যাশা করেন ‘নিপসম’ এখন যথা নিয়মে রিপোর্ট দিয়ে যাবে । এতে করে আর সমস্যা হবে না ।

এখন পর্যন্ত সদর উপজেলায় ৩৯ জন, টংগিবাড়ী উপজেলায় ১২, সিরাজদিখান উপজেলায় ২৩, শ্রীনগর উপজেলায় ১০ জন, লৌহজং উপজেলায় ১৩ জন এবং গজারিয়া উপজেলায় ১২ জন করোনায় আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে সদরে চারজন, টংগিবাড়ীতে দুইজন ও লৌহজং উপজেলায় একজন করোনা সনাক্ত হওয়ার আগেই মারা যায়। তবে, সিরাজদিখান উপজেলায় একই পরিবারের দু’জন , শ্রীনগর উপজেলায় একজন ও সদর উপজেলায় একজন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।

About দৈনিক সময়ের কাগজ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

Scroll To Top
error: Content is protected !!