ইমাম জাফর:
করোনা দুর্যোগের সময় শ্রমিক ছাঁটাই বন্ধ করা, বাসের ৬০% বর্ধিত ভাড়া প্রত্যাহার করা, মাগুরা জেলায় করোনা টেস্ট ও করোনা রোগীর চিকিৎসার যথাযথ আয়োজনসহ ৮ দফা দাবিতে মাগুরা জেলা করোনা দুর্যোগ মোকাবিলায় গণকমিটির উদ্যোগে আজ মঙ্গলকার সকাল সাড়ে ১১ টায় শহরের চৌরঙ্গী মোড়ে মানববন্ধন করেছে ।
গণকমিটির আহ্বায়ক কাজী ফিরোজ এর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন যুগ্ম আহ্বায়ক এটিএম মহব্বত আলী , যুগ্ম সদস্য সচিব শম্পা বসু, সদস্য এ এফ এম বাহারুল হায়দার বাচ্চু, বিশ্বজিৎ চক্রবর্তীসহ অনেকে।
বক্তারা , বাসের ভাড়া বৃদ্ধির অযৌক্তিক সিদ্ধান্তকে জনগণের উপর মড়ার উপর খাড়ার ঘা হিসেবে উল্লেখ করে জানান- আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম এক তৃতীয়াংশে নেমে আসার পরও আমাদের দেশে তেলের দাম কমানো হয়নি। জ্বালানির দাম কমালে ভাড়া বৃদ্ধির প্রয়োজন হতো না। নেতৃবৃন্দ বাসের ভাড়া বৃদ্ধি না করে বিভিন্ন সড়কে সরকারি টোল আদায় বন্ধ, পেট্রোল ও ডিজেলের দাম কমানোর দাবি জানান।
নেতৃবৃন্দ বলেন, করোনা দুর্যোগে যখন মানুষ অসহায় তখন অনেক শ্রমিককেই চাকরিচ্যুত করা হচ্ছে । ইতিমধ্যে মাগুরা টেক্সটাইল মিলে শ্রমিকদের ছাঁটাই করা হয়েছে । গার্মেন্টস মালিকরা করোনা দুর্যোগের শুরুতেই সরকারের কাছ থেকে ৫ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা আদায় করেও এখন বলছে জুন মাস থেকে শ্রমিক ছাঁটাই করবে। মানববন্ধন থেকে নেতৃবৃন্দ শ্রমিক ছাঁটাই বন্ধের দাবি জানান ।
নেতৃবৃন্দ বলেন, সারা দেশের মতো মাগুরা জেলাতেও করোনা রোগীর সংখ্যা বাড়ছে । মাগুরাতে দুইজন করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়ার পর তাদের নমুনা পরীক্ষা করে জানা গেছে তারা করোনা পজিটিভ ছিলেন । শুরু থেকে গণকমিটি মাগুরা জেলায় করোনা টেস্টের ব্যবস্থা করে প্রতিদিন অন্তত ৫০০ নমুনা টেস্টের ব্যবস্থা করার দাবি জানিয়েছে । আইসিইউ ও কমপক্ষে ৫টি ভেন্টিলেটরের ব্যবস্থা করার দাবি জানান হয়েছে । কিন্তু বরাবরের মতো মাগুরা জেলার মানুষের চিকিৎসা সেবার আয়োজনের দাবি উপেক্ষিতই রয়ে গেছে ।
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক কাজী ফিরোজ জানান, দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আগামীতে আরো কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।