Friday , May 17 2024
You are here: Home / বিদেশ / চীনের পাঠানো ভ্যাকসিন নিয়েছেন কিম এবং তার পরিবার
চীনের পাঠানো ভ্যাকসিন নিয়েছেন কিম এবং তার পরিবার

চীনের পাঠানো ভ্যাকসিন নিয়েছেন কিম এবং তার পরিবার

অনলাইন ডেস্ক : উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন এবং তার পরিবারের সদস্যদের জন্য করোনাভাইরাসের পরীক্ষামূলক একটি ভ্যাকসিন সরবরাহ করেছে চীন। মঙ্গলবার জাপানের দু’টি বেনামি গোয়েন্দা সূত্রের বরাত দিয়ে এক মার্কিন বিশ্লেষক এমনটাই দাবি করেছেন। খবর রয়টার্সের।

ওয়াশিংটনভিত্তিক থিঙ্ক ট্যাংক সেন্টার ফর ন্যাশনাল ইন্টারেস্টের উত্তর কোরিয়া বিষয়ক বিশেষজ্ঞ হ্যারি কাজিয়ানিস জানিয়েছেন, ইতোমধ্যেই চীনের পাঠানো ওই ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছেন কিম এবং উত্তর কোয়িার আরও শীর্ষ বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা।

ওই কর্মকর্তা জানিয়েছেন, চীনের তৈরি এই ভ্যাকসিনটি কোন কোম্পানির এবং এটি নিরাপদ এমন প্রমাণ পাওয়া গেছে কীনা সে বিষয়টি এখনও নিশ্চিত নয়।
১৯ফোর্টিফাইভ নামের একটি অনলাইন সংবাদমাধ্যমে কাজিয়ানিস লিখেছেন, কিম জং উন এবং তার পরিবারের সদস্যসহ দেশটির উচ্চ পর্যায়ের বহু কর্মকর্তা গত কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছেন। চীনা সরকারের সরবরাহকৃত এই ভ্যাকসিনের জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছে উত্তর কোরিয়া।

মার্কিন বিজ্ঞানী পিটার জে হোতেজের বরাত দিয়ে হ্যারি বলেন, চীনে কমপক্ষে তিনটি কোম্পানি করোনার ভ্যাকসিন নিয়ে কাজ করছে। এগুলো হচ্ছে- সিনোভ্যাক বায়োটেক লিমিটেড, ক্যানসিনোবায়ো এবং সিনোফ্রাম গ্রুপ।

সম্প্রতি সিনোফ্রাম কোম্পানি দাবি করেছে যে, তাদের তৈরি করোনার সম্ভাব্য ভ্যাকসিন ইতোমধ্যেই চীনের প্রায় ১০ লাখ মানুষের ওপর প্রয়োগ করা হয়েছে। তবে এই তিনটি কোম্পানির কেউই এখনও পর্যন্ত প্রকাশ্যে তৃতীয় ধাপের ট্রায়ালের ঘোষণা দেয়নি।

অনেক বিশেষজ্ঞই সন্দেহ প্রকাশ করেছেন যে, কিম জং উনকেও হয়তো পরীক্ষামূলক কোনো ভ্যাকসিনই প্রদান করা হয়েছে। সংক্রামক রোগের বিশেষজ্ঞ চই জুং হান বলেন, যদিও এখনও চীনের কোনো ভ্যাকসিন অনুমোদন পায়নি তবে কোনো ভ্যাকসিন কতটা নিরাপদ তা না জেনেই সেটা গ্রহণ করবেন না কিম। ২০১২ সালে উত্তর কোরিয়া থেকে দক্ষিণ কোরিয়ায় আশ্রয় নেন এই বিশেষজ্ঞ।

পূর্ব এশিয়াভিত্তিক বিশ্লেষক মার্ক বেরি বলেন, বেইজিংয়ের মাধ্যমে সরবরাহকৃত কার্যকরী ইউরোপীয়ান ভ্যাকসিন গ্রহণ করতে পারেন কিম। তিনি বলেন, ‘এক্ষেত্রে অনেক বড় ঝুঁকি থাকতে পারে। কিন্তু কিম হয়তো চীনের তৈরি ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম পেয়ে বেশ খুশি।’

গত ডিসেম্বরে চীনে প্রথম করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে। তারপর থেকে ২১৮টি দেশ ও অঞ্চলে এই ভাইরাসের প্রকোপ ছড়িয়ে পড়েছে। তবে চীনের সঙ্গে সীমান্ত থাকার পরও প্রথম থেকে দেশকে করোনা শূণ্য দাবি করে আসছেন কিম। উত্তর কোরিয়া বলছে, তাদের দেশে একজনও করোনা রোগী নেই। যদিও পিয়ংইয়ংয়ের এমন দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

About দৈনিক সময়ের কাগজ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

Scroll To Top
error: Content is protected !!