নিজস্ব প্রতিনিধিঃ কুষ্টিয়ায় বাল্যবিয়েতে হাতির পিঠে চোড়ে বিয়ে করতে এলেন বর পুলিশ দেখে বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে হাতি রেখে পালিয়ে গেলে বর ও বরযাত্রী।
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে বিয়ের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন।কনের বাড়িতে আত্মীয় স্বজনের ব্যাপক সমাগম।বর আসছে হাতির পিঠের চরে। সংবাদ পেয়ে ভিড় জমিয়েছে উৎসুক জনতা। অপ্রাপ্ত বয়স্ক স্কুল ছাত্রীকে ধুমধাম করে বাল্য বিয়ের খবর পেয়ে বাড়িতে পুলিশ এসে হাজির। কনের বাড়িতে পুলিশ আসার খবর পেয়ে বর পক্ষ দ্রুত হাতি ফিরিয়ে দিয়ে সবকিছু গুটিয়ে নিয়ে সটকে পরার খবর পাওয়া গেছে।
ঘটনাটি বুধবার বিকেলে কুমারখালী উপজেলার যদুবয়রা ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামে ঘটেছে।তবে কনের পরিবারের অভিযোগ স্থানীয় চেয়ারম্যান পরিবার ও তার সমর্থকদের বিয়েতে দাওয়াত না দেওয়ায় পুলিশ দিয়ে বিয়ে অনুষ্ঠান ভেঙে দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, গোবিন্দপুর গ্রামের নবম শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রীর সাথে একই ইউনিয়নের জোতমোড়া গ্রামের এক চাকুরীজীবী ছেলের সাথে পারিবারিক ভাবে বিয়ের কথা পাকাপাকি হয়।বিয়েতে ব্যাপক আয়োজন করা হয়।অর্ধশতাধিক বর যাত্রী নিয়ে হাতির পিঠে চরে বর আসবে। কিন্তু কনে অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় পুলিশের হানায় বিয়ের অনুষ্ঠান ভেঙে বিয়ে বাড়ির আয়োজন বন্ধ করে দেওয়া হয়।
নাম প্রকাশ না করা শর্তে কনের এক চাচা বলেন, বিয়ে কোর্টের মাধ্যমে আগেই দেয়া হয়েছে । আজ আনুষ্ঠানিকভাবে উঠিয়ে দেয়া হচ্ছিল। বর আসার কথা ছিল হাতিতে চরে। কিন্তু স্থানীয় চেয়ারম্যানের সাথে পূর্ব শত্রুতা থাকায় সে পুলিশ দিয়ে অনুষ্ঠান ভেঙে দিয়েছে।
এবিষয়ে যদুবয়রা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শরিফুল আলম বলেন, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার ফোনের মাধ্যমে জানতে পারলাম আমার এলাকায় বাল্য বিয়ের অনুষ্ঠান হচ্ছে। তিনি আরো বলেন,তাদের সাথে কোন শত্রুতা নেই। দাওয়াত দিক আর না দিক, বাল্য বিয়ের অনুষ্ঠানে আমি কখনো যাইনা।
কুমারখালী থানার ওসি মজিবুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে কাউকে না পেয়ে বিয়ে অনুষ্ঠান ভেঙে দেয়া হয়েছে।