দৈনিক সময়ের কাগজ সবার সঙ্গে, সব সময়
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥
কুষ্টিয়া শহরের চৌড়হাস এলাকার হাসিনা খাতুন এখন মানবেতর জীবন-যাপন করছেন।
দীর্ঘদিন ধরে তিনি চৌড়হাস এলাকার মিজানুর রহমানের জায়গায় বসবাস করে আসছেন হাসিনা খাতুনের পরিবার। তারা স্ট্যাম্পে বিক্রয় বায়নার করে সেই জমিতে বসবাস করত বলে জানা যায়। এদিকে উক্ত জমির উপর মামলা চলমান থাকায় সেই জায়গা রেজিষ্ট্রি করা হয়নি বলে হাসিনা খাতুন জানান। সেই সময় মিজানুর রহমান হাসিনা খাতুন কে আশ্বাস দেন যে মামলা শেষ হলে জমি রেজিস্ট্রি করে দেবেন। হাসিনা খাতুন তার আশ্বাসের ভিত্তিতে দীর্ঘদিন ধরে ঘর নির্মাণ করে বসবাস করে আসছিল।
হাসিনা খাতুনের মেয়ে জানান, চৌড়হাস নজর আলী সরদারের ছেলে আকলেম আলী সরদারের কাছ থেকে .৪৪৬৯ একর জমি ১ মে ১৯৯৯ তারিখে ১শ টাকার স্ট্যাম্পে ৫০ হাজার টাকার মধ্যে ২৬ হাজার টাকা দিয়ে বিক্রয় বায়নানামা করেন। যাহার স্ট্যাম্প নং ঙ ১৮২৮৩০৭ ও জ ৩৪০৯৪২১। এই বায়নানামা হওয়ার কিছুদিন পর আকলেম আলী সরদার মৃত্যুবরণ করেন। এরপর আকলেম আলীর ছেলে মিজানুর রহমান আবার ২৫ সেপ্টেম্বর ২০০৭ সালে আবার ১৫০ টাকার স্ট্যাম্পে বায়নানামা করা হয়। সেইখানে ১লক্ষ টাকার মধ্যে ৭০ হাজার টাকা গ্রহণ করেন মিজানুর রহমান। যাহার স্ট্যাম্প নং ফ ৮৫৭৪৩২৭, ফ ৮৫৭৪৩২৮ ও ফ ৮৫৭৪৩২৮। এরপর থেকে মিজানুর রহমান আমাদের বলেন আদালতে মামলা চলাকালীন জমি রেজিস্ট্রি হয় না। মামলা শেষ হলে তোমাদের নামে রেজিষ্ট্রি করে দেওয়া হবে। এখন হঠাৎ করে গতকাল (মঙ্গলবার) আমাদের কোন নোটিশ না দিয়ে এক ঘন্টার মধ্যে ঘর থেকে সব মালামাল সরিয়ে নিতে বলা হয়। আমরা মালামাল সরিয়ে নিতে না নিতেই ঘর ভেঙে দেওয়া হয়েছে। এখন আমি ১৬ মাসের বাচ্চা নিয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছি। এখানে ৩টি বাচ্চা সহ ৮ জন থাকতাম। এখন আমরা কোথায় যাবো কি করবো বুঝতে পারছি না।
একটি সুত্রে জানা যায়, সুজন, পিতা: আজমত এই জমি সহ এলাকার বিভিন্ন জমির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে আসছে।
