বিশেষ প্রতিনিধি : ব্যবসায়ীদের আন্দোলনের মুখে ঈদের একদিন আগে দোকান খুলে দেওয়ায় কুষ্টিয়ায় করোনাভাইরাসের সংক্রামণ ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। অনেকে মনে করছেন, করোনা বোমায় ভাসছে কুষ্টিয়া জেলা। সামাজিক দূরত্ব বজায় না রাখা এবং স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা না করার ফলে এখানে করোনাভাইরাস মারাত্বকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।
সর্বশেষ গত ২৭ মে এখানে নতুন ৪জন রোগী নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৯জন। ঐ দিন ২০টি নমুনার মধ্যে কোভিট পজিটিভ পাওয়া গেছে চারজনকে। শতকরা হিসেবে অংকটা অনেক বড়, একশজনে ২০জন। ৩৯ জন রোগীর মধ্যে কুষ্টিয়া সদরে ৪জন, দৌলতপুরে ১৫, ভেড়ামারায় ২, মিরপুরে ২, কুমারখালীতে ৮ এবং খোকসা উপজেলায় ১ জন রয়েছেন। এর মধ্যে ৩০জন পুরুষ ও ৯জন স্ত্রী। এ জেলায় ২২জন হোম আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
বৈশ্ব্কি এ করোনাভাইরাস দেশে আঘাত হানার পর পরই কুষ্টিয়াকে নিরাপদে রাখতে কুষ্টিয়ার জেলাপ্রশাসক মো. আসলাম হোসেন ও পুলিশ সুপার এস এম তানভীর আরাফাত পিপিএম (বার) জোরালো ভূমিকা পালন করেন। যেখানে বেশি লোকের সমাগম, বিশেষ করে কুষ্টিয়া জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের হাট-বাজার বন্ধ করে দেন। কিন্তু শেষের দিকে আর ঠিক রাখতে পারলেন না কুষ্টিয়া শহরের ব্যবসায়ীদের আন্দোলনের কারণে। তাদের বিক্ষোভের মুখে সব ধরণের দোকানপাট খুলে দেয প্রশাসন।
ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে মানুষ ঈদে কুষ্টিয়া গিয়ে কেনাকাটার উন্মুক্ত সুযোগ পায়। কোন বাধা নিষেধ না থাকায় তারা গাদাগাদি করে কেনাকাটা করেছে। এর ফলে করোনাভাইরাস ছড়ানোর আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
কুষ্টিয়া চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী রবিউল ইসলাম ব্যবসায়ীদের দোকান খোলার নিশ্চয়তা দিয়ে থানা ঘেরাও থেকে দোকাননে ফিরে যেতে বলেন, তিনি বলেন, ঈদের আগে আপনারা নির্ভয়ে ব্যবসা করুন।
কুষ্টিয়া সিভিল সার্জন ডা. এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা এ ঘটনার কারণে বাড়তে পারে। তবে এখন পর্যন্ত এ জেলা অনেকটা সহনশীল পর্যায়ে আছে। তিনি বলেন, এখন সবার উচিৎ, সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা।